কলারোয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষি

0

কে. এম. আনিছুর রহমান,কলারোয়া (সাতক্ষীরা) ॥ কলারোয়ার হিমসাগর আম দেশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে। তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে অসাধু ব্যবসায়ীদের অপরিপক্ব আম পেড়ে নেওয়া ও বিদেশি ক্রেতা আসতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির সম্মখীন হয়েছেন চাষিরা।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের মত সর্বস্ব হারানোর ভয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কলারোয়ার আম চাষিরা। এ কারণে প্রশাসন সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ১২ মে এর পরিবর্তে ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ আম বাজারজাত করার অনুমতি দেয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অপপ্রচার করে চাষিদের অপরিপক্ব আম বাজারজাত করতে উৎসাহিত করে। উপজেলার সীমান্তবর্তী মাদ্রা গ্রামের আম ব্যবসায়ী লালটু হোসেন জানান, আম বিক্রির হিড়িকে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে আগাম জাতের গোবিন্দভোগ আমের দাম হ্রাস পেয়ে ৮শ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে । ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় অধিকাংশ চাষি নামমাত্র মূল্যে আম বাগান বিক্রি করে দিয়েছে।
গোবিন্দভোগ বাজারজাত করার সুযোগ নিয়ে সাতক্ষীরার খ্যাতিমান হিমসাগর আম অপরিপক্ব অবস্থায় বাজারে উঠতে শুরু করে। কিন্তু গত বছর হিমসাগর আম বাজারজাত শুরু হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ দরে, এবার সেই হিমসাগর আমের দাম হাজার টাকায় নেমে আসে বলে আম ব্যবসায়ী মো. রেজাউল জানান। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ১৪ মে ঘূর্ণিঝড়ের আগেই হিমসাগর আম বাজারজাত শেষ করেছেন। কম দামে আম বিক্রি করে চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আর এই অপরিপক্ব আম কিনে ক্রেতারা চরম ভাবে ঠকেছেন। সাতক্ষীরার হিমসাগর আমের খ্যাতি নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে বাজরে হিমসাগর আমের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় আমের বাজার দর হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমে দাগ, আম ছোটসহ নানা অজুহাতে ১ হাজার ৬শ টাকার বেশি দাম পাচ্ছে না খুচরা ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যবসায়ীরা বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে চাষির আম ক্রয় করছে। বিদেশি ক্রেতা সাতক্ষীরার আম কিনতে না আসায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারের একছত্র নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে অনেক চাষির খরচের টাকা উঠছে না বলে দেয়াড়ার চাষি মিজানুর রহমান ও সোনাবাড়িয়ার চাষি মাহিদ রহমান জানান। কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, বিদেশি বায়াররা এখনো সাতক্ষীরায় আম কিনতে না আসায় আমের বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়নি।