আ.লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে হরিণাকুন্ডুতে আবারো খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার মান্দারতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে লুৎফর রহমান (৪০) নামে এক টাইলস মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত লুৎফর রহমান মান্দারতলা গ্রামের নায়েব মন্ডলের ছেলে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে তিনি হত্যার শিকার হন। লুৎফর রহমান ঢাকার শাহবাগ এলাকায় টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী ভানু নেছা জানান, সোমবার সকালে তার স্বামী বাড়ি থেকে জোড়াপুকুরিয়া গ্রামে আত্মীয় মিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় মান্দারতলা গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন কাউসারের দোকানের সামনে পৌঁছালে ১৫/২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে রেখে যান। গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুজ্জামান সজীব জানান, ‘নিহতের শরীরে একাধিক ভোতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হরিণাকুন্ডু পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া ও মান্দারতলা গ্রামে আওয়ামী লীগের সাইফুল কমিশনার ও খবির উদ্দীনের দুইটি গ্রুপ রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত পহেলা এপ্রিল সাইফুল কমিশনার গ্রুপের সদস্য জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম খুন হন। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই খবির গ্রুপের লুৎফর রহমানকে খুন করা হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আজিফ বলেন, ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ রয়েছে। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনো আটক করা যায়নি।