খুলনা হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন

0

 

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনায় আলোচিত পলাশ শেখ ওরফে সবুজ হত্যা মামলায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে । একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের তকুব্বর ফকিরের ছেলে রোমান ফকির ও আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লার ছেলে মিলু। দন্ডপ্রাপ্ত দুইজনই পলাতক রয়েছেন। অপরদিকে এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট এম. ইলিয়াস খান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তেরখাদা উপজেলার আড়পাঙ্গাসিয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে পলাশ ওরফে সবুজের মিলু মোল্লার বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এ কারণে মিলু মোল্লা পলাশ ও তার স্ত্রী রিক্তা বেগমকে সন্দেহ করতেন। এ অবস্থায় মিলু মোল্লা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে সবুজকে ডেকে নেয়। তারপর থেকে অনেক খোঁজ নেওয়ার পর সবুজের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে সবুজের পরিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে আসামি মিলু মোল্লা তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমকে ঠেকানোর জন্য অন্যান্যদের সহায়তায় বারাসাত গ্রামের উত্তর পাশে বিলের ভেতর নিয়ে গামছা পেচিয়ে সবুজকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে তারা আত্মগোপনে করে। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর আসামি রোমান মোল্লা তার শশুর বাড়ি রাজাপুর গ্রামে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সামনে সবুজের হত্যাকাণ্ডের কথা ফাঁস করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন নিহত সবুজের মা বেগম বিবি বাদী হয়ে ৪ জন আসামির নাম উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এ হত্যা মামলার আসামি রোমান ফকির গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডে নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান দেয়।
২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এ মামলার আসামি রোমান ফকিরের দেখানো স্থান থেকে সবুজের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেরখাদা উপজেলার পাতলা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাবর আলী খান ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২২ জন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন।