কালীগঞ্জে খাসজমি দখল করে মাছ চাষ করছেন ইউপি সদস্য

0

শিপলু জামান, কালীগঞ্জ( ঝিনাইদহ) ॥ হিন্দু পরিবারের ২ একর ১৯ শতক জমি থেকে ২০১৮ সালে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে বিক্রি শুর করেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোহিত হোসেন। এরপর সেখানে পুকুর বানিয়ে মাছের চাষ করছেন। ২০২১ সালে জায়গাটি সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। কিন্তু আজও জনপ্রতিনিধি ওই পুকুরের দখল ছাড়েননি।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, ইউপি সদস্য মোহিত হোসেন নানা ধরনের কাগজপত্র দিয়ে জায়গাটি নিজ নামে করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করতে ব্যর্থ হয়ে জায়গাটি দখলে রাখতে ইজারা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার মস্তবাপুর গ্রামের বালির গর্ত নামক স্থানের। যে জায়গাটি একসময় নিতাই পদ সরকারের ছিল, যিনি পরিবারসহ ভারতে চলে গেছেন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিতাই সরকার এই স্থানে ২ একর ১৯ শতক জমি ফেলে রেখে ভারতে চলে যান। সেই থেকে ওই জমিটি নানা সময়ে নানাভাবে ব্যবহার হয়ে এসেছে। এরপর ২০১৮ সালে ওই স্থান থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করেন কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহিত হোসেন। এভাবে বালু তুলে বিক্রির ফলে স্থানটি বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এখন সেখানে তিনি পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। ইউপি সদস্য মোহিত হোসেন বলেন, পুকুরটিতে তিনি মাছের চাষ করছিলেন। তিনি জমির মূল মালিকের কাছ থেকে ‘পাওয়ার’ (ক্ষমতা) পেয়ে জমিতে যান ।
এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খোকন বিশ্বাস জানান, ৮১ নম্বর মস্তবাপুর মৌজার ২০৯ ও ২১১ নম্বর খতিয়ানের ৬৫০ ও ৬৫১ দাগে ২ একর ১৯ শতক জমি ছিল মালিকবিহীন। ২০২১ সালে জমিটি সরকারের খাসে নেওয়া হয়েছে। জায়গাটি এখন সরকারের। দখলদার মোহিত হোসেনকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাঁরা দ্রুতই এটির দখলে যাবেন বলে জানান।