বিপুল অর্থ বরাদ্দেও কাজ হচ্ছে না! ময়লা-আবর্জনায় ভরা যশোর পৌরসভার অধিকাংশ ড্রেন

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ও অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি থাকে যশোর পৌরসভার ড্রেনগুলো। মাসের পর মাস এসব ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না। দীর্ঘদিন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় তা দিয়ে পানি নিষ্কাশনও ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম চলে আসলেও ড্রেনগুলো পরিষ্কারের কোনও কার্যক্রম চোখে পড়েনি। ফলে এ মৌসুমে পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী।
বিট্রিশ ভারতের প্রথম পৌরসভা যশোর। বর্তমানে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। আয়তন ১৪ দশমিক ৭২ কিলোমিটার। যশোর পৌরসভার প্রকৌশলী বিভাগ থেকে জানা যায়, পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন রয়েছে ২৫২ কিলোমিটার। এর মধ্যে আর সি সি ৫৫ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার,ইটের গাঁথুনি ৬০ দশমিক ৮০ কিলোমিটার,পাইপের ড্রেন ৫ কিলোমিটার এবং কাঁচা ড্রেন ১৩০ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার। প্রতি মাসে ড্রেন পরিষ্কার বাবদ কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়,সেটি প্রশাসনিক শাখায় হিসাব থাকলেও তথ্য দিতে গড়িমসি করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু । তিনি বলেন, কঞ্জারভেন্সি শাখা থেকে শুনে জানাবো। কঞ্জারভেন্সি শাখায় গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা বলেন,আমি বলতে পারব না, প্রশাসনিক শাখায় গিয়ে উত্তম স্যারের সাথে কথা বলেন উনি তথ্য দিতে পারবেন। এ দিকে কঞ্জারভেন্সি শাখা থেকে জানা যায়,এ খাতে প্রতি মাসে যে শ্রমিক কাজে লাগানো হয় তাদের হাজিরা মোতাবেক ৪০০ টাকা করে প্রদান করা হয়। কর্মঘন্টা প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
এদিকে পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলর জানান, প্রতি মাসে এলাকা ভেদে সর্বনিম্ন ৬০ থেকে ৭০ কখনো ১০০টির অধিক শ্রমিক বরাদ্দ দেওয়া হয় ড্রেনসহ অন্যান্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজের জন্যে। অথচ এতো শ্রমিক কোনও জায়গায় ব্যবহার করা হয় তা চোখে পড়ে না।
এদিকে, দিনের পর দিন পৌর এলাকার ড্রেনসমূহ পরিষ্কার না করার কারণে অধিকাংশ ড্রেন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা যায়,ড্রেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের ময়লা আবর্জনা জমে আছে। দেখে মনে হবে পরিত্যক্ত কোনও জলাশয়ের তলদেশে জমে থাকা ময়লা। তার ওপর পানির বোতল থেকে শুরু করে পৌরবাসীর ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র ভেসে আছে। আবার ড্রেনে পানি প্রবেশের মুখগুলো বন্ধ হয়ে আছে। বৃষ্টি হলে ড্রেনে পানি ধারণের ক্ষমতা নেই। এদিকে সামন্য বৃষ্টি হলেই পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিবন্দী হয়ে পড়ে, বিশেষ করে শংকপুর, বেজপাড়া, সিটি কলেজ পাড়া,খড়কি, ডালমিল এলাকার বাসিন্দারা। শংকরপুরসহ বেজপাড়ার বিভিন্ন মহল্লার বাসিন্দারা দুর্ভোগের শিকার হন। চলতি বছরে কয়েকদিন বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা শিকার হন তারা।
এ বিষয় পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশের দফতরে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। প্যানেল মেয়র শেখ মোকসিমুল বারী অপুর ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।