অনি আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা, একই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আটক

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছায় উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে অনি রায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় ২ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-২৪। বুধবার ( ২৯ মার্চ) এ মামলা হয়। অভিযুক্তরা হচ্ছে ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মুরাদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান তামিম (১৬) ও ঝিকরগাছা হাসপাতাল মোড়ের বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের ছেলে সাকিব উদ্দিন (১৬)। তারা দুজনই ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত মেহেদী হাসান তামিমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অনি রায় আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে অপর আসামি সাকিব উদ্দিন পালাতক রয়েছে।
মামলার বাদি অনির মা কনিকা রায় উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে অনি রায় গত  সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কোচিং শেষ করে ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের গেটের উত্তর-পূর্ব কোনে হাইস্কুলের নির্মাণাধীন দোকানের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্তরা তার মেয়েকে দাঁড়াতে বলে। কিন্তু অনি রায় না দাঁড়ালে আটক মেহেদী হাসান তামীম তার হাত ধরে টান দেয়। এ সময় তার মেয়েকে বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল কথাবার্তা বলে। যা অনি রায়ের বান্ধবী লামিয়া ইয়াসমিন সেতু, ওরিশা বিনতে কবীর ও সৈয়দ সুমাইয়া সিমরান অবগত। প্রকাশ্য স্থানে আসামিদের ওই কার্যকালাপ ও আচরণে অনি রায় কান্নাকাটি করতে করতে বাড়িতে যায়। এ সময় অনির মা তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে কোন কিছু না বলে নিজ ঘরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর  অনি রায়কে ডাকাডাকি করলেও তার কোন সাড়া না মেলায় তার ভাই শুভম রায় অর্ঘ্যকে ডাক দেন তিনি। অর্ঘ্য বাড়ির বাইরের দেয়ালের সানসেটের ওপর উঠে ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখতে পান তার বোন মায়ের শাড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অনি রায়ের আত্মহত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তার ভাই শুভম রায় অর্ঘ্যসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, অনি রায়ের ইভটিজিংয়ের সাথে জড়িত মামলার আসামিদের দ্রুতসময়ের মধ্যে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।