শিরোমনিতে আ.লীগ নেতা হত্যায় মামলা হয়নি, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খুনি শনাক্তের চেষ্টা

0

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনার শিরোমনির বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বারাকপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংষ্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. আনছার শেখের ময়না তদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়ি দিঘলিয়ার লাখোয়াটি গ্রামে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় গতকাল। হত্যাকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আইন শৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে পুলিশের সূত্র জানিয়েছেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত গতকাল খানজাহান আলী থানায় মামলা হয়নি। তবে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কথা জানা গেছে। এদিকে হত্যাকান্ডের পিছনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রতিহিংসা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি নিহত মো. আনছার শেখের স্বজনদের। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সকল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনাসহ দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত মো. আনছার শেখের লাশ গতকাল বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনছার শেখের স্বজনরা বুঝে নেন। পরে মাগরিবের পর তার গ্রামের বাড়ী দিঘলিয়ার লাখোয়াটি চারবাড়ী বায়তুল কুবা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহতের ছেলে তানভীর শেখসহ স্বজনরা বলেন, স্থানীয় বাজার বণিক সমিতি, জনপ্রতিনিধি নির্বাচন, রাজনৈতি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে পুর্ব শত্রুতার জেরে তার বাবাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করতে পারে বলে তাদের ধারনা। স্বজনরা জানায় খুবই পরিকল্পিত ভাবে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী বলেন, জুম্মার নামাজের পর দিনের বেলায় জনসম্মুখে লোকালয়ে প্রকাশ্যে একজন মানুষকে এভাবে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নির্বিঘেœ পালিয়ে যাওয়ার পিছনে সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডের ঘটনা দাবি করে তিনি হত্যাকান্ডের নেপথ্যের তীর গাজী পরিবারের প্রতি ছোড়েন।
এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খান বলেন নিহতের পরিবার দাবি করেছে স্থানীয় নির্বাচনসহ এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হতে পারে। ঘটনাস্থলের সকল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন হত্যাকান্ডের মোটিভ উদঘাটনে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। নিহত আনছার শেখের পরিবারের দাবিসহ হত্যাকান্ডের পর উঠে আসা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে পুলিশ কাজ করছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা গেছে।