চৌগাছায় সড়কের পাশে মরা গাছ: চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ

0

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের দুইপাশে জেলা পরিষদের অসংখ্য মরা গাছ এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সামান্য ঝড় বৃষ্টি ও একটু বাতাসে গাছের বড় বড় ডাল এমনকি মরাগাছ ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন সড়কেই এসব মরা গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হালকা বাতাস হলেই এসব সড়কে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যশোর জেলা পরিষদ সড়কের গাছগুলোর মালিকানা দাবি করলেও সড়ক থেকে মরা গাছগুলো অপসারণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না তারা।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, চৌগাছা-যশোর, চৌগাছা-ঝিকরগাছা, চৌগাছা-মহেশপুর, চৌগাছা-কোটচাঁদপুর, চৌগাছা-শার্শা সড়কের দুইপাশে জেলা পরিষদের মেহগনি, শিশু, কড়াই, বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে।বিভিন্ন সময়ে আম্পান, নার্গিসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক গাছ পড়ে বা ভেঙ্গে মারা গেছে। এছাড়া ফসলি জমির পাশে গাছ থাকায় এইসব গাছের ছায়া ও পাতায় নষ্ট হচ্ছে ফসল।
পথচারী ভ্যানচালক উপজেলার গরীবপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, বিভিন্ন সড়কের দু- ধারে অনেক গাছ মরে রয়েছে। এছাড়া গাছ খেকোরা রাতের আঁধারে সরকারিগাছ কেটে সাবাড় করছে। গাছের গোড়া থেকে দেড় থেকে দুইহাত ওপরে বাকল কেটে রাখা হয়। কখনো আবার গাছের গোড়ায় অতি মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। একই সাথে দেয়া হচ্ছে লবণ। এসব পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সড়কে শ-শ গাছ মরে বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি।

পাশাপোল গ্রামের জামিনুর রহমান পেশায় ইজিবাইকচালক। তিনি বলেন, প্রতিদিন চৌগাছা-ঝিকরগাছা, চৌগাছা-মহেশপুর, চৌগাছা-কোটচাঁদপুর, চৌগাছা-শর্শা সড়কগুলোতে ছোট বড় শ-শ যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া সড়কের পাশে রয়েছে শ শ বসতবাড়ি। মরা গাছের কারণে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ বসবাসকারীরা রয়েছেন রীতিমত আতঙ্কে।

অতি সম্প্রতি চৌগাছা শহরের মুসলিম জুয়েলার্সের মালিক হায়দার আলী চৌগাছা-যশোর সড়কের কড়ইতলায় একটি গাছের ভেঙে পড়া ডালের আঘাতে মারাত্মক আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা সরকারি মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে যশোর, পরে খুলনা এবং সর্বশেষ ঢাকাতে নিতে হয় তাকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে দাঁড়িয়ে আছে । বিষয়টি আমি নিজে দেখেছি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো অপসরণের জন্যে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সড়কের গাছগুলো যশোর জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদকে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।