কপিলমুনিতে আমনের ফলন ভাল

0

 

কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ বৈরি আবহাওয়া ও অনাবৃষ্টির পরও পাইকগাছার কপিলমুনিসহ উপজেলার সর্বত্র আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে। আমন ধান কর্তন শুরু হয়েছে। উঁচু ক্ষেতের আমন ধান কর্তন ও মাড়াই চলছে। উঁচু ক্ষেতের ধান আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে কাটা সম্পন্ন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। অনাবৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার জন্যে কৃষকরা সময় মত আমনের আবাদ করতে পারেনি। কৃষকরা আগাম কিছু ক্ষেতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করেছে। আর দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় নাবি আবাদ করতে হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্য এলাকা থেকে উপকূল এলাকায় এক মাস পরে কৃষি কাজের পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়াজনিত কারণ ও মৎস্য লিজের ঘেরগুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সেজন্যে আমন ধান কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন আমন ধান ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আমন ধান মণ প্রতি সাড়ে ৮শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচালির চাহিদা থাকায় কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে ধানের আবাদ সময়মত করতে পারেন নি কৃষকরা। অনেক ক্ষেতে নাবি আবাদ হয়েছে। উপজেলায় উঁচু ক্ষেতের প্রায় ৪০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। আর নাবিতে লাগানো ক্ষেতের ১০ ভাগ ধানে ফুল ধরেছে ও ২০ ভাগ ক্ষেতের ধানে দুধ হয়েছে। ধানের হেক্টর প্রতি ফলন হাইব্রিড ৬.৪ মেট্রিকটন, উফশী ৫.৪ মেট্রিকটন ও স্থানীয় জাতের ৩.৮ মেট্রিকটন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের পুরাইকাটী কৃষক ফারুক হোসেন ও তোকিয়ার কৃষক শফিকুল জানান, অনাবৃষ্টির পরও তাদের ক্ষেতের আমনের ফলন ভালো হয়েছে। মঠবাটি গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, তার ক্ষেতের ধানের সবে ফুল ধরেছে। তাছাড়া মাজড়া পোকা লাগায় অতিরিক্ত পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেতের ধানে চিটার পরিমাণ বেশি হচ্ছে। এউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমনের ফলন ভাল হয়েছে।