জীবননগরে হারভেস্টার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

0

 

নুর আলম,জীবননগর(চুয়াডাঙ্গা) ॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় উপজেলায় বাংলা মার্কের কৃষকদের মাঝে কম্বাইলন হারভেস্টার মেশিন প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।অন্যদিকে একজন কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত মেশিন প্রদানে কোম্পানির প্রতিনিধিদের অনেক ছলচাতুরির পর তা অবশেষে কৃষকের নিকট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে,জীবননগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলায় উপজেলা কৃষি বিভাগের তালিকা মোতাবেক শহরের মহানগর দক্ষিণপাড়ার আনসার আলীর ছেলে কৃষক জামিউল হোসেনকে একটি হারভেস্টার মেশিন প্রদান করা হয়। কিন্তু মেশিনটি ওই কৃষককে না দিয়ে পরবর্তীতে তারা মেশিনটি নিয়ে যান।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা তড়িঘড়ি করে কৃষকের নিকট কোন টাকা পয়সা না নিয়ে এবং মেশিনটির স্বপক্ষে কোন চুক্তিপত্র সম্পাদন না করেই কৃষকের বাড়িতে তা রেখে চলে যান।এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েন ওই ভুক্তভোগী কৃষক।
কৃষক জামিউল হোসেন বলেন, সরকার আমাকে বাংলামার্ক কোম্পানির একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ডিজিটাল মেলায় প্রদান করে। কিন্তু মেশিনটি কোম্পানির লোকজন নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে কোম্পানির লোকজন মেশিনটি নিয়ে যাওয়ার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে কয়েকদিনের মাথায় আমার বাড়িতে তারা মেশিন রেখে চলে যান। কিন্তু তারা মেশিন প্রদান সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র ও চুক্তিপত্র করেন নি। বেশ কিছুদিন পরে অবশ্য কোম্পানির লোকজন এসে ৪ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট নিয়ে কাগজপত্র দিয়ে গেছেন। কিন্তু কোম্পানির এমন আচরণের কারণে চলতি মৌসুমে মেশিন ব্যবহার করতে পারিনি। এতে আমার লোকসান গুনতে হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,মেশিনটি হস্তান্তরের পর থেকে তা কৃষকের নিকটই থাকার কথা। তা কোম্পানি কিংবা অন্য কোথাও থাকার কোন সুযোগ নেই।
একটি সূত্র জানায়,কোম্পানির প্রতিনিধিরা কৃষকদের নামে হারভেস্টার মেশিনগুলো উত্তোলন করে কৌশলে সরকারের ভর্তুকির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে জামিউল হোসেনের নামে হারভেস্টার মেশিনটি উত্তোলন করার পর পরই তা কোম্পানির লোকজন নিয়ে যান। কিন্তু ব্যাপারটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের অভিযোগ, হারভেস্টার মেশিনগুলোর একবারে মোটা অংকের ডাউন পেমেন্ট দেয়া লাগে। যে কারণে মেশিন ক্রয়ে প্রান্তিক কিংবা প্রকৃত কৃষকেরা আগ্রহী হয় না।অন্যদিকে মেশিন পেতে অনেক ভোগান্তিও পোহাতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার সারমিন আক্তার বলেন,হারভেস্টার মেশিনের জন্য বেশ কয়েকজন কৃষক আবেদন করেছেন।কৃষক জামিউল হোসেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওই কৃষককে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হবে। তাছাড়া মেশিন প্রদানের ব্যাপারে কোন অনিয়ম-দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই।