যশোরে পৌর কাউন্সিলর নয়নের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলোচিত সাহেদ হোসেন নয়নসহ ১৩ জনকে আসামি করে গতকাল আদালতে মামলা করেছেন জসিম শিকদার (২৮) নামে এক যুবক। ওই পৌর কাউন্সিলরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয় মর্মে অভিযোগ করেছেন তিনি মামলায়।
জসিম শিকদার বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নজরুল শিকদারের ছেলে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার মো. মুন্সীর ছেলে মাসুদ, বেজপাড়া রানার অফিস এলাকার মনির ছেলে মুন, মৃত খোকনের ছেলে শান্ত, বেজপাড়া বনানী রোডের মদন সাহার ছেলে অমিত, বেজপাড়া তালতলার খবির শিকদারের ছেলে ব্লাক জীবন, শংকরপুর টার্মিনাল রোডের জামালের ছেলে ভূষি সুমন, বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের আবুল হোসেনের ছেলে পান্না লাল, শংকরপুরের আব্দুল হামিদের ছেলে হাদিউজ্জামান, শহিদ হোসেনের ছেলে সেলিম, মোহাম্মদ আলীর ছেলে লুই রাজু, বেজপাড়া তালতলা মোড়ের তবিবরের ছেলে বাবু ও শংকরপুর ছোটনের মোড়ের সুলতানের ছেলে কুটি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বাদি জসিম শিকদারসহ এলাকার অনেকে মিছিলসহ এবং কেউ কেউ পৃথকভাবে জনসভায় অংশ নেন। আসামি সাহেদ হোসেন নয়নের নেতৃত্বের মিছিলে অংশ না নেওয়ায় আসামিরা জসিম শিকদারসহ অন্যদের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে আসামিরা জসিম সিকদারের বাড়িতে চড়াও হন। তবে এ সময় জসিম শিকদার বাড়িতে ছিলেন না। তখন আসামিরা ফিরে আসার সময় জসিম শিকদারকে বাড়ির সামনের রাস্তায় পেয়ে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অস্বীকার করায় তাকে মারধর করা হয়। এছাড়া একই এলাকার শহিদুলকে ধরে তার কাছেও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। চাঁদার টাকা না দিলে বোমা মেরে তার দোকান উড়িয়ে দেয়াসহ খুলতে দেয়া হবেনা বলে হুমকি দেয়া হয়। এরই এক পর্যায়ে আসামিরা জসিম শিকদারকে কুপিয়ে জখম ও স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামি সাহেদ হোসেন নয়নসহ অন্যরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।