বাঘারপাড়ায় আমন ধানে চিটা

0

বাঘারপাড়া সংবাদদাতা॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় কৃষি অফিসের অসহযোগিতায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমন চাষিরা। আমন ধানে চিটা হওয়ায় উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষিদের। কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ না পাওয়া, সার সঙ্কট ও সেচ সুবিধার অভাবে এরকম ঘটেছে। অথচ কৃষি অফিস বলছে, এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন মাঠে ব্রি-৪৯, ব্রি-৮৭, ব্রি-৭৫, বিনা-১৭, হাবু, গুটি স্বর্ণ, হাইব্রিড ধানী গোল্ড ও ব্রি-৫১ জাতের ধান চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি না থাকা ও সারের দাম বৃদ্ধিতে এমন ক্ষতি হয়েছে। শেখেরবাতান গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী জানান, জমি তৈরি থেকে শুরু করে ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত যে খরচ হবে তার অর্ধেক টাকার ধান বিক্রি হয় কিনা সন্দেহ। ৩ বিঘা (৫২শতাংশে ১বিঘা) জমিতে চাষ করেছি। সার, পানি, শ্রমিকের মুজুরিসহ ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এক বিঘায় ১৫-১৬ মণ ধান হয়েছে। মাড়াই শেষে হিসাব করে দেখা গেছে বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে। রামনগর গ্রামের কৃষক ইউনুচ আলী বলেন, ১২০ শতক জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান লাগিয়েছিলাম। ধান মাড়াই করে ৫২ মণ ধান হয়েছে । ধানে অতিরিক্ত চিটা হওয়ায় ফলন কমে গেছে। গত আমন মৌসুমে একই পরিমাণ জমিতে ৭৫ মণ ধান হয়েছিল। পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জাামান জানান, এক বিঘা জমিতে হাবু জাতের ধান লাগিয়েছিলাম। এতে ফলন হয়েছে ২০ মণ ২০ কেজি। আবাদে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার মতো। ধানে চিটা বেশি হওয়ায় লাভ তো দূরে থাক, খরচের টাকাও উঠছে না। তিনি আরও বলেন, আমন মৌসুমে উপজেলার কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে পাইনি। তাদের কোনো উপদেশ বা পরামর্শ কোনোটাই নেই। এছাড়াও রাসায়নিক সারের ঘাটতি ছিলো। বেশি দামেও সার পাচ্ছিলাম না। আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সেচ মালিকরাও সে সময় সেচ দিতে রাজি হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানিয়েছেন, এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ধানে চিটা হয়েছে এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, অফিসে আসেন। কথা হবে বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।