প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে চলছে প্রস্তুতি, স্টেডিয়ামে গ্যালারি ভেঙে বাড়লো মাঠের পরিধি

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২৪ নভেম্বরের প্রধানমন্ত্রীর যশোরের জনসভা নির্ধারিত শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম ছাপিয়ে পাশে ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠ পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটবে বলে আয়োজকরা দাবি করছেন। এজন্য জনসভার মাঠের পরিধি বাড়ানোর জন্য স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের গ্যালারি ভেঙে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠের সাথে এক করে দেয়া হয়েছে। দুই মাঠে একিভূত হয়ে উপস্থিত জনতা প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা উপভোগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোরের জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে যশোর আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন জনসভার স্থান নির্ধারণে আলোচনা চলছিলো। এরই মধ্যে সম্প্রতি দলের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে সভার স্থান নির্ধারণ করা করা হয়। এরপর থেকে সেখানে মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলতে থাকে।

জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে নির্ধারিত মাঠে লোক ধরানো সম্ভব নাও হতে পারে এমনটা চিন্তা মাথায় রেখেই স্টেডিয়ামের মাঠের পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে স্টেডিয়ামে মাঠকে বাড়াতে গত সন্ধ্যার পর উত্তর পাশের গ্যালারি ভাঙা শুরু হয়। পরপর দুই দিন ধরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিকরা মিলে স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের বিশাল গ্যালারি ভেঙে ফেলেন। গ্যালারি ভেঙে ফেলার কারণে এখন আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠ আর স্টেডিয়াম মাঠ একিভূত হয়ে গেছে। এখন সেখানে জনসমাবেশের মঞ্চসহ আনুষাঙ্গিক কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে আজ থেকে ৫০ বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ের পর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাঠে আসছেন। এটি যশোরের নিকট অতীত যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্ববৃহৎ জনসভায় রূপ নেবে। এজন্য জনসমাবেশের মাঠের বিস্তৃতি বাড়াতে উত্তর পাশের গ্যালারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, সমাবেশে আগতরা যাতে সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্নে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য জনসমাবেশের আশপাশে বড় পর্দারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।