আরবপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে থাকছে না সিসি ক্যামেরা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) মোট ১৬ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে থাকছেনা কোনো সিসি ক্যামেরা। ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু ফলাফল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহারুল ইসলামের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলটির দুই বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খোকন ও যুবলীগ নেতা শহীদুজ্জামান শহীদ।
ইউনিয়নের ৩২ হাজার ৮০০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান জানিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে, গত ১ জানুয়ারি নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মীর আরশাদ আলী রহমান দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৫ মাসের মাথায় গত ১৩ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করলে নির্বাচন কমিশন পদটি শূণ্য ঘোষণা করে। পরবর্তীতে শুধু চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে ২ নভেম্বর ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান জানান, আরবপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে শতভাগ ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে ভোট চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো সম্ভব হয়নি। তবে নির্বাচনে কোনো পক্ষই যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেজন্যে প্রত্যেক কেন্দ্র ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বপালন করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থীরা একবারের বেশি কেউ ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত থাকলেও নির্বাচনে ভোটকারচুপির আশঙ্কা করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের শহিদুজ্জামান শহিদ। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলাকালে সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকায় অনেক অনিয়ম ধরা পড়েছে। এজন্য আমরা কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেলা নির্বাচন অফিস সেটি ব্যবস্থা না করায় আমরা ভোট কারচুপির শঙ্কা করছি। তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী শাহারুল ইসলাম একজন বিতর্কিত লোক। যে কারণে অধিকাংশ ভোটাররাই আমার সাথে আছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় নিশ্চিত।
তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের বিগত দিনে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করাকালীন আমি দলমত নির্বিশেষে সকলের কল্যাণে কাজ করেছি। যে কারণে ভোটে মানুষ শেষ পর্যন্ত আমাকেই বেছে নেবেন। তিনি বলেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে ভোটাররা বিভ্রান্ত হবেনা বলে তিনি দাবি করেন।
আরেক প্রার্থী আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক আসাদুজ্জামান খোকন বলেন, আমি বিশ্বাস করি ভোটকেন্দ্রে যদি কোনো প্রকার বলপ্রয়োগ না করা হয় তাহলে আমার বিজয় কেউ আটকাতে পারবেনা। এজন্য তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানান।