‘রাজপথের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে’

0

স্টাফ রিপোর্টার,খুলনা॥ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে প্রয়াত ছাত্রনেতা এস এম কামাল হোসেনের মতো সাহস ও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর ও জেলা ছাত্রদল আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সোমবার সকালে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ফ্যাসিবাদী শাসকের জন্য এস এম কামাল হোসেন এবং আজিজুল হাসান দুলুর মতো কর্মীরা মূর্তিমান আতংক ছিলেন বলে মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে, কারানির্যাতন চালিয়ে, শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। কামালের রাজনৈতিক দর্শন, চেতনা, সাহস ও কর্মীপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুঃশাসনের অবসান ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারলেই তাদের আত্মদান সার্থক হবে। বক্তারা বলেন, খুলনার রাজনীতিতে ছাত্রনেতা কামাল অসংখ্য কর্মী তৈরি করে গেছেন। তাদের স্মরণের মধ্য দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রির সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুদরতে আমির এজাজ খান। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, শের আলম সান্টু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবির, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, আশরাফুল আলম নান্নু, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুূন কবির, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আফসার উদ্দিন মাস্টার, রফিকুল ইসলাম বাবু, তারিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফি, কানিজ ফাতেমা আমিন, কামরুজ্জামান টুকুু, সজীব তালুকদার, আতাউর রহমান রুনু, সেতারা বেগম, কাজী নেহিবুল হাসান নেইম, আব্দুল আজিজ সুমন, জাবির আলী, মোল্লা রিয়াজুল ইসলাম, গাজী মমশেদুল ইসলাম সজীব, মুনতাসির আল মামুন, নাসির উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা বজলুর রশিদ রাজা, মুজাহিদুল ইসলাম টনি, কিমিয়া সাদাত, আহসান আল বাকের, খান রাকিব, গাজী মোমশেদুল ইসলাম সজিব, আমিন আহমেদ, মামুন খান, রাকিব খান, আবদুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ তানভীর আহমেদ, মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের সাইফুল ইসলাম খান, রাকিব ইসলাম, ইবাদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মফিজুল ইসলাম, সৈয়দ ইমরান, সাগর শিকদার, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, হেদাযয়েতুল্লাহ দিপু, রিয়াজুল খান মুরাদ, মাহাফুজ শিকদার, রাশিকুল আনাম রাশু, পারভেজ হোসেন মিজান, আলী আকবর, মাজাহারুল ইসলাম রাসেল, তরিকুল ইসলাম নকিব, আব্দুর রহিম বাদশা, এস এম ইউসুফ, ফিরোজ আহমেদ, মিজানুর রহমান মৃদুল, চৌধুরী আসাদুর রহমান, আব্দুল আহাদ শাহিন, মনিরুল ইসলাম মনির, আবু হানিফ, আবু জাফর, মাকসুদ আলম, আল মামুন, শাহ জামান প্রিন্স, শাকিল আহমেদ, আরিফুল ইসলাম টুকু, আল আমিন লিটন, মাসুম বিল্লাহ, নাজিম উদ্দিন শামীম, ইজবুর রহমান ইমুল, অমিত মল্লিক, আল আমিন হোসেন, মাহমুদুল হাসান, আব্দুস সালাম, নাম্মিন হোসেন মারজান, ইমতিয়াজ আলী সুজন, ফয়সাল হোসেন, হিমেল গাজী, কাজী সালমান মেহেদী, রবিউল ইসলাম, হাবিবুর রহমান বিপ্লব, খালিদ বিন ওয়ালিদ শোভন, ইসমাইল হোসেন, আরিফ মোল্লা তুর্য, হানিফ আকাশ, রনি জমাদ্দার, বীরেশ্বর মন্ডল, ইজাজ আহমেদ, ইসরাইল হোসেন জিসান, দোলা, এহেসানুল হক শিথিল, মুনতাসির বিশ্বাস অন্তিম, হাসিবুর রহমান শোভন, শামসাদ হোসেন আবিদ, এস এম নয়ন হোসেন, ইমরান মল্লিক, আল আমিন হোসেন, আরিফুল ইসলাম, রনি শেখ, মহিউদ্দিন তালিম, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, মেহেদী হাসান, নাজমুল হাসান, নাসিমুল ইসলাম রিদয়, রাকিব হাসান, তারিকুল ইসলাম টিটু, নাজের মাহামুদ নিবীড়, তানভীর, তামিম খান প্রমুখ।
বাদ জোহর টুটপাড়া কবরস্থানে মরহুম এস এম কামাল হোসেন কবর জিয়ারত করা হয়। জিয়ারত শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা কামাল হোসেন টুটপাড়ার বাসভবনে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।