শালিখায় কালের সাক্ষি জমিদার বাড়ি

0

 

শালিখা (মাগুরা) সংবাদদাতা॥ মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার থেকে তিন কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই ছান্দড়া গ্রামের জমিদার বাড়িটির দেখা মিলবে । বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে আছে কালের সাক্ষি হয়ে। মুঘল আমলের প্রথমার্ধে বাড়িটি নির্মাণ করেন জমিদার অলঙ্গন মোহন দেব রায়। এই অঞ্চলের মধ্যে ছান্দড়ার জমিদার অত্যান্ত প্রতাপশালী ছিলেন । এ বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকাজ পরিচালনা করতেন। এ সবই আজ ইতিহাস। কালের পরিক্রমায় সবকিছু হয়ে গেছে অতীত। ভেঙে পড়ছে জমিদার বাড়িটি। ইটে ধরেছে নোনা। জানালা দরজা হয়ে গেছে উধাও। কিন্তু জমিদারের জমিদারী না থাকলেও টিকে আছে ধ্বংসাবশেষ।
এ ছাড়াও টিকে আছে জমিদারের নির্মিত শান বাঁধানো পুকুর ঘাট, কালি মন্দির ও শতবর্ষী আম গাছ। জমিদারের ব্যবহৃত হাতিশালা ও পুকুর ভরা ব্যাঙ কোনো কিছুই নেই।
জমিদারের বাড়ির পাশে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও জি বাংলা টেলিভিশনের দাদাগিরি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক যাকে কলকাতার রাজপুত্র বলা হয় সৌরভ গাংগুলির পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল বলে জানা যায়। জমিদার বাড়ির পাশে ছিল গাংগুলিদের বাড়ি। কিন্তু তাদের অস্তিত্বের কিছু না থাকলেও কালের সাক্ষি হয়ে আছে এই জমিদার বাড়ি ও পাশের সেই বেগবতী নদী।
ছান্দড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি স্বপন মুখাজি জানান, অলঙ্গন মোহন দেব রায় এই এলাকার প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন। এই বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকার্য পরিচালনা করা হতো।