প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি শূন্য বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ

0

 

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪ দিনের ভারত সফরে বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশের প্রাপ্তি প্রায় শূন্য। বরং ভারতের আঞ্চলিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার কাছে এই ভূ-খণ্ডকে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর প্রদত্ত যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার প্রশ্নে আলোচনার পর ৭ দফা যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রয়োজন হয় না। এবারও দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায় হিস্যার প্রশ্ন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কোন সুস্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। বাণিজ্য সংক্রান্ত যে আলোচনা ও সমঝোতা হয়েছে তাতে ভারত ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থকেই প্রধান বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ভারতের সাথে আমাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচার রোধ নিয়ে কোন আলোচন হয়নি। বাংলাদেশে রেলপথ, সড়কপথ ও নৌ-বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের নামে যে সমঝোতা হয়েছে সেখানে ভারতীয় ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে- যা আমাদের জাতীয় স্বার্থকে বিপন্ন করে তুলবে।
তিনি বলেন, এসবই করা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সত্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্বার্থ ও পরিবেশ বিরোধী সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন মোদীর সাথে ভারতের মাটিতে। এছাড়াও শেখ হাসিনার সরকার নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার বিদ্যুৎ ক্রয়সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি খাত থেকে ক্রমাগত বিদ্যুৎ ক্রয়ের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাতে আমাদের জ্বালানি খাত ও অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ইতিপূর্বে ভারতের দেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ভারত কর্তৃক রাডার স্থাপনের চুক্তি বাস্তবায়িত হলে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে।
বিবৃতিতে ইকবাল কবির জাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের এহেন নতজানু, জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা এবং একইসাথে ভারতের প্রতি সরকারের নতজানু নীতির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি। বিজ্ঞপ্তি।