কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন ভালো দাম পাওয়ার আশায় চাষি

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী, কেশবপুর (যশোর) ॥ কেশবপুরে পাট চাষে ভালো ফলন হওয়ায় আশার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাটের বা¤পার ফলন হয়েছে। গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার থেকে ২১০ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে পাটের আবাদ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রীমা আক্তার বলেন, কেশবপুরে ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে চলতি বছর পাটের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৪৮ হেক্টর। গত বছর এ উপজেলায় পাট আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে। এবার রবি-১ জাতের লাল রঙের পাটের আবাদ বেশি করেছেন চাষিরা। এর মধ্যে মজিদপুর, ত্রিমোহিণী, সাতবাড়িয়া, মঙ্গলকোট, হাসানপুর, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন ও কেশবপুর সদর ইউনিয়নে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় ক্ষেত থেকে পাট কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামের কৃষক ওলিয়ার রহমান জানান, ‘গত বছর বাজারে পাটের দাম বেশি দেখে এবার প্রথমবার ১ বিঘা ১০ কাটা জমিতে বীজ বুনেছিলাম। ভালো ফলন হওয়ায় ক্ষেতে ২৩ থেকে ২৫ মণ পাট হতে পারে বলে আশা করছি। গত বুধবার বিকেল থেকে ক্ষেতের পাট কাটা শুরু করেছি। পাট আবাদ করতে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৮শ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মণ পাট ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করতে পারলে ভালোই লাভবান হবেন বলে জানান। কিন্তু খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে কষ্ট হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক এরশাদ আলী বলেন, ‘বিলে ৫ বিষা জমিতে লাগানো পাট গত বুধবার থেকে কাটা শুরু করেছি। ক্ষেতে পাটের আবাদ ভালো হওয়ায় দাম আগের মতো থাকলে লাভ হবে এবার।’ একই গ্রামের কৃষক ফজলু বিশ্বাস জানান, ‘গত বছর কুষ্টা (পাট) বেঁচে ভালোই লাভ করেছি। এ আশায় এই বার ৫ বিঘা জমিতে লাগাইছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, পাটের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এ উপজেলার চাষিরা পাট আবাদে ঝুঁকেছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পাটের বা¤পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের মত এবারও আশা করছি কৃষকরা পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন।