ছাত্রকে মারধর ও থানায় অভিযোগের প্রতিবাদ কোটচাঁদপুরে অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের অপসারণের দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাস উত্তাল

0

 

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ কোটচাঁদপুর সরকারি খন্দকার মোশারফ হোসেন কলেজে এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমারসহ এক সহকারী অধ্যাপকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে গত দুই দিন কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে মারধরের শিকার ওই ছাত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধনের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই সময়ই জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে (কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী সাবেক) সাবেক তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার।
এদিকে সোমবার সকালে মশিয়ার রহমান মনিক (এইচএসসি পরীক্ষার্থী) ও মানিক নামের সাবেক ছাত্রকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে এ ঘটনায় সকালে পুলিশের বাধায় কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে কলেজের কিছু ছাত্রের সাথে সাবেক ছাত্ররা। বিক্ষোভকারীরা পরে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। অবশ্য ছাত্রদের দাবির মুখে পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়।
প্রসঙ্গত ১৮ আগস্ট কলেজে চুরির ঘটনায় চোর শনাক্ত করে ছাত্র প্রতিনিধিরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ চুরি যাওয়া ঢেউটিন উদ্ধার করে চোর ছেড়ে দেয়। চোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়ায় ওই ছাত্র প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ করলে ২৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মারুফ আহমেদসহ তিন ছাত্রকে কলেজ অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার কক্ষে ডেকে নেন। মারুফের দাবি সেখানেও সে ওই চোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিকল্পিতভাবে সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা অধ্যক্ষের সামনে তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মারুফ অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার ও সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোন্তফার বিরুদ্ধে ওই দিনই স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেন।
কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দীন জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ মারুফসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দুটি তদন্তধীন রয়েছে।