ঝিকরগাছায় স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী মেহেদী হাসান আটক না হওয়ায় ক্ষোভ

0

 

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ ঝিকরগাছায় স্কুলছাত্রী মারিয়া খাতুন(১৫)’র আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারী পলাতক প্রতারক প্রেমিক মেহেদী হাসান(১৯)’র ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও গ্রেফতার না হওয়ায় মানুষের ভেতর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পলাতক মেহেদী হাসান শনিবার নিজ বাড়িতে ফিরে আসলেও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ার ভয়ে মুহূর্তেই গা ঢাকা দেন। এদিকে মেহেদী হাসান আটক না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে নিহত মারিয়ার সহপাঠীসহ এলাকাবাসী। ঘটনার পর জনরোষের ভয়ে তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সকলেই গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে মেহেদী হাসান ছাড়া সকলেই বাড়িতে রয়েছে বলে জানা গেছে । এ ঘটনায় নিহত মারিয়ার পিতা আব্দুল হান্নান ওরফে হারান দর্জি বাদী হয়ে প্রতারক প্রেমিক মেহেদী হাসানের নাম উল্লেখ করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, প্রেম প্রতারণার শিকার মারিয়ার আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়ে পড়েছে। স্কুলছাত্রী মারিয়া খাতুনের বেশ কয়েকজন সহপাঠীসহ ও কাশিপুর এলাকার একাধিক সূত্রের দাবি, কথিত প্রেমিক মেহেদী হাসান এর আগেও একাধিক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে কাশিপুর পশ্চিমপাড়া ও পাশ^বর্তী পদ্মপুকুর-চাঁপাতলা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুলপড়–য়া মেয়েও রয়েছে। কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সবুর, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মাজিদ, সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন সোহাগ, তারিকুল ইসলাম তারিক, আবু হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী পাল, মিলি বিশ^াস, সাবিকুন্নাহারসহ মারিয়ার সহপাঠী নাসিমা খাতুন, শিউলি খাতুন ও তর্ণি খাতুনের সাথে। তারা মারিয়ার অকাল ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর জন্য দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এরআগে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, অভিযুক্ত ছেলেটি মাদকাসক্ত ও বখাটে। তার একাধিক মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা শোনা গেছে।