শতাব্দী প্রাচীন মহেশ্বরপাশা আর্ট ভবন সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন

0

 

খুলনা ব্যুরো॥ দেশের প্রথম অঙ্কণশিল্প প্রতিষ্ঠান শিল্পী শশিভূষণ পাল প্রতিষ্ঠিত শতাব্দী প্রাচীন ‘মহেশ্বরপাশা স্কুল অব আর্ট ভবন’ সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগ। শনিবার সকালে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসীন।
এতে বক্তারা বলেন, উন্নয়নের নামে দেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতবর্ষী নগরীর ‘মহেশ^রপাশা স্কুল অব আর্ট ভবন’ নষ্ট করা যাবে না। আন্দোলনের মাধ্যেমে হলেও ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটিকে রক্ষা করবে খুলনাবাসী। আমরা ইতিমধ্যে শত বছরের ঐতিহ্য পৌরভবন, ডাকবাংলো ভবন, পোস্ট মাস্টার জেনারেলের কার্যালয় হারিয়েছি। হারাতে বসেছি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সার্কিট হাউজের নির্যাতন কেন্দ্র, শতবর্ষী নাট্য নিকেতনটি সম্মুখে করোনেশন হল ও বাংলাদেশের শিল্পকলার পথিকৃত শশীভূষণ পাল কর্তৃক ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম অঙ্কন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা ইতিহাস-ঐতিহ্যপ্রিয় মানুষেরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। আমরা চাই এই ইতিহাস ও ঐতিহ্যগুলো প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে টিকে থাকুক। সে কারণেই আমরা চাই ইতিহাস সমৃদ্ধ মহেশ^রপাশা স্কুল অব আর্ট ভবন ভবনটি সরকারের প্রতœতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষণ করা হোক।
বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ও কবি জসিমউদ্দীন এই প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশের প্রথম অঙ্কনশিল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেন। শিল্পী এস এম সুলতান নানা সময়ে এ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। শিল্পপ্রেমী শশীভূষণ পাল আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠার পর ১৯২০ সালে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহারাজ বাহাদুর এ স্কুল পরিদর্শন করেন। ১৯২২ সালের জুলাই মাসে এ স্কুল পরিদর্শনে আসেন তদানীন্তন বাংলার গভর্নর লর্ড লিটন। অথচ অযতœ-অবহেলায় আজ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি।
লেখক ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দীর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান বাবু, মফিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন দিলু, এসএম সোহরাব হোসেন, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, রতন কুমার নাথ, বিধানচন্দ্র রায় প্রমুখ।