৪০ কিলোমিটার সড়ক এক মরণ ফাঁদ

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ঝিকরগাছা ও হানয়ার বটতলা মোড় হতে বাঁকড়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটারের দু’টি সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক দু’টির পিচ, খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে এ অবস্থা চললেও চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দু’টি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
উপজেলার বাণিজ্যিক বাজার রাজগঞ্জ থেকে ঝিকরগাছা উপজেলা পর্যন্ত ও হানুয়ার বটতলা থেকে বাঁকড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান এ দু’টি সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হল এ সড়ক দু’টি। পিচ, খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার প্রধান এ সড়ক দু’টি যানবাহন ও মানুষ চলাচলের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৃহত্তর এই সড়ক দু’টিতে চলাচলরত যাত্রীদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। সড়ক দু’টির বেহাল অবস্থার কারণে কর্মজীবিসহ সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঠিকমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে না পারায় তাদের দৈনন্দিন পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। সেই সাথে নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে তারা। অথচ দীর্ঘ দুইযুগ অতিবাহিত হলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দু’টি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
যশোর শহরের সাথে সম্পৃক্ত বৃহত্তর রাজগঞ্জবাসীর সেতুবন্ধন এ দু’টি সড়ক ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়তই মারাত্মত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন । এ সড়ক যন্ত্রণা থেকে মানুষ পরিত্রাণ পেতে জনদুর্ভোগের বিরুদ্ধে লিখে সংশ্লি¬ষ্টদের ঘুম ভাঙ্গাতে সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এছাড়া যশোর শহরের সাথে ৫ উপজেলার নাগরিকদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ দু’টি সড়ক। সংশ্লি¬ষ্ট বিভাগের চরম উদাসীনতায় শুধুমাত্র সংস্কারের অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক দু’টি ব্যবহারকারী মণিরামপুর, কেশবপুর, কলারোয়া ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে। সড়কের মধ্যে বড় গর্ত আর। এ গর্ত অতিক্রম করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। প্রধান এ সড়ক দু’টিতে বড় বড় গর্ত থাকায় মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী যানবাহন ও বালি ও পাথর বোঝাই ভারী যানবাহনসহ সাধারণ পথচারিরা। রাজগঞ্জ অঞ্চলের ৫টি উপজেলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চলাচলের এ সড়ক দু’টি দীর্ঘদনি থেকে সংস্কারহীনতায় কারণে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
ভুক্তভোগী আবুল কাসেম, আইউব হোসেন, আতাউর রহমান, আব্দুল জলিল জানান, প্রতিদিন এ দু’টি সড়ক দিয়ে তারা মাছসহ কাঁচা তরকারি বিক্রির জন্যে ভ্যানে করে রাজগঞ্জ ও যাশোরে নিয়ে যান। কিন্তুু বর্তমানে সড়কের যে অবস্থা তাতে ভ্যান তো দূরের কথা পায়ে হেঁটও যাওয়া মুস্কিল বলে জানান এ পথচারিরা।
এব্যাপারে কথা হয় হরিহরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রিপন কুমার ধরের সাথে। তিনি জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান এ সড়ক দু’টি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক দু’টির পিচ, খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি মাছের খাদ্য বোঝাই একটি যানবাহন উল্টে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। এতে চালক মারাত্মক আহত হয়। ফলে এ সড়ক দু’টি যানবাহন ও মানুষ চলাচলের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন এ নেতা।
এ ব্যাপারে কথা হয় ঝাঁপা গ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল হক তুহিনের সাথে। তিনি জানান, রাজগঞ্জ বাজার হতে ঝিকরগাছা ও হানুয়ার বটতলা মোড় হতে বাঁকড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান এ সড়ক দু’টির বর্তমান যে অবস্থা তাতে যাত্রীবাহী যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাফেরা করা বড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে। যশোর শহরের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটারের প্রধান এ সড়ক দু’টি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপয়োগি হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।