ধর্মঘট দীর্ঘ হলে আজ থেকে যশোরের পাম্পগুলো তেল শূন্য হয়ে পড়বে

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিপো থেকে জ্বালানি উত্তোলন ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা। তবে ধর্মঘটের প্রথম দিন যশোরে এর বড় ধরনের প্রভাব না পড়লেও এটি দীর্ঘ হলে আজ সোমবার থেকে যশোরের পাম্মগুলো জ্বালানি তেল শূন্য হয়ে পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশংকা করছেন।
কমিশন বৃদ্ধি ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে রোববার সকাল থেকে যশোরসহ খুলনা বিভাগের ১৫ জেলায় ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে। যে কারণে গতকাল থেকে যশোরসহ খুলনা বিভাগের কোনো তেলপাম্প কর্তৃপক্ষ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন করেন নি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন করেন তারা। এরমধ্যে শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকায় তেল উত্তোলন করতে পারেনি পাম্প কর্তৃপক্ষ। যে কারণে রোববার অধিকাংশ পাম্প মালিক তেল উত্তোলনের জন্য খুলনার সরকারি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল ডিপোতে গিয়ে কোনো তেল উত্তোলন করতে পারেন নি।
যশোর ও খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি সমিতির সহসভাপতি আতিকুর রহমান টিকু বলেন, ভাড়া ও কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে ১৫ জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এই ১৫ জেলার মধ্যে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং গোপালগঞ্জ। ধর্মঘট কতদিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুলনার নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসেছেন। আশা করছি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
সূত্র জানায়, আনুপাতিক হারে কমিশন বৃদ্ধি এবং ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেলপাম্প মালিক সমিতি খুলনা বিভাগের কোনো ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন না করে ২৪ ধর্মঘট পালন করছে। বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২.৭১ টাকা কমিশন দেয়া হয়। অতীতে তারা কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (বিপিসি, জ্বালানি মন্ত্রণালয়) একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি। এ অবস্থায় সর্বশেষ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় আনা হয়নি। এ অবস্থায় তারা দাবি আদায়ে ধর্মটের ডাক দেয়।
রোববার খুলনার সরকারি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল ডিপো থেকে কোনো লরিতে তেল বোঝাই করা হয়নি। তেল পরিবহণও বন্ধ রাখে ট্যাংক লরি মালিক ও শ্রমিকরা। ডিপোগুলোর গেট বন্ধ বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ধর্মঘটের প্যানাসাইন গেটে টানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। ডিপোগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় ট্যাংকলরি মালিক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির এক নেতা জানান, এ বিষয়ে সংগঠনের বিভাগীয় নেতাদের সাথে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বৈঠক চলছিলো। সেখানে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তবে এ বিষয়ে সংগঠনের বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলমান থাকবে বলে আন্দোলনকারীরা জানান।