সাংবাদিকদের উপস্থিতি, সটকে পড়লেন বিএসটিআই পরিদর্শক!

0

 

শিপলু জামান , কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ॥ শনিবার ছুটির দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় খুলনা থেকে বিএসটিআই-এর পরিদর্শক আলমাস মিয়া কালীগঞ্জে আসেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির কালীগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক সম্ভু কর্মকারের বধূ জুয়েলার্সে নিক্তি (সোনা পরিমাপ যন্ত্র) চেক করতে। নিয়ম অনুযায়ী পরিদর্শক প্রতিটি দোকানে যাবেন এবং নিক্তি চেক করে তাতে বিএসটিআই’র টিকিট মারবেন। কিন্তু তিনি তা না করে সম্ভু কর্মকারের দোকানে বসেই সকল জুয়েলারির দোকানের টিকিট লিখছিলেন। এদিন শনিবার (২৩ জুলাই) হলেও তিনি বিএসটিআই’র শতাধিক টিকিটে ২৪ জুলাই তারিখ লেখেন। এমন সময় সেখানে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে বিএসটিআই পরিদর্শকের সাথে কথা বলেন। পরিদর্শক আলসাম মিয়া ভুল করে তারিখ (২৪ জুলাই) লেখা হয়েছে বলে জানান এবং পরে আর একদিন আসবেন বলে সেখান থেকে তড়িঘড়ি করে সটকে পড়েন।
খুলনা বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক মোন্নাফ হোসেন এ ব্যাপরে বলেন, ‘প্রতিটি নিক্তি চেক করে তবেই তার গায়ে বিএসটিআই’র টিকিট লাগাতে হবে। তিনি যদি একজনের কাছে টিকিট দিয়ে আসার চেষ্টা করেন তাহলে অপরাধ করেছেন। আমি ছুটিতে আছি, ছুটি শেষ হলে বিষয়টি দেখবো।’
একাধিক জুয়েলারি মালিক জানান, প্রতি বছর নিক্তি চেক করতে আসা বিএসটিআই’র পরিদর্শকরা মোবারকগঞ্জ চিনিকলের গেস্ট হাউজে আসতেন এবং সেখানে বসেই তারা টাকা নিয়ে টিকিট দিয়ে চলে যেতেন। তারা দোকানে এসে কোনো নিক্তি চেক করতেন না।
জানা গেছে, বিএসটিআই টিকিটের সরকারি মূল্য ১১৫ টাকা হলেও প্রতি জুয়েলারির দোকান থেকে নেয়া হয় ৫শ টাকা করে। একাধিক জুয়েলারির দোকান মালিক জানান, ৫শ টাকার মধ্যে ৩৮০ টাকা দেওয়া হয় নিক্তি চেক বাবদ আর বাকি ১২০ টাকা করে উপজেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন দিবস পালন করার জন্য।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি ওসমান আলী জানান, ‘আমরা সকল সদস্যের কাছ থেকে ৫শ টাকা করে নিয়ে থাকি নিক্তি চেকসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে, এই টাকা আমরা খরচ করি। উপজেলায় পহেলা বৈশাখেও ইলিশ মাছ খাবার সময় আমাদের টাকা দিতে হয়।’
এ বিষয়ে বক্তব্য নেবার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনের কাছে একাধিকবার ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।