ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ ঠাঁই মিলছে না হাসপাতালে

0

 

বিএম আসাদ ॥ ভাইরাল জ্বর জনিত ‘ফ্লু’ ছড়িয়ে পড়েছে যশোরে। গ্রাম-গঞ্জে ঘরে ঘরে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক ব্যক্তিরাও এ ‘ফ্লু’তে আক্রান্ত হচ্ছেন। লক্ষণ দেখে করোনা মনে হলেও আসলে এটা করোনা নয়। ভাইরাল জ্বর বা মৌসুমী রোগ বলা হয় একে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে যে সব রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ মেডিসিন ও শিশু বিভাগে। প্রতিদিন ১শ’ ৬০ থেকে ১শ’ ৭৫ জন শিশু এবং ১শ’ ৩৫ থেকে ১শ’ ৫০ জন বয়স্ক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন পুরুষ মেডিসিন বর্হিবিভাগে মহিলা বিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনরূপ সংখ্যক রোগী। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত জুন মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্হিবিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৮শ’ ৩৭ জন। এর ভেতর শিশু ৬ হাজার ২৭ জন মহিলা, ২৭ হাজার ২শ’ ৫৮ জন ও পুরুষ ১৫ হাজার ৫শ’ ৫২ জন। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেয়া ১ হাজার ৬শ’ ২৩ জনের ভেতর ৩শ’ ৫৮ জন শিশু, ৭শ’ ৭ জন মহিলা ও ৫শ’ ৫৮ জন পুরুষ। ভর্তি হয়েছেন, ৬ হাজার ৮শ’ ২১ জন। যার মধ্যে ৮শ’ ৫৬ জন শিশু। বাকিরা বয়স্ক রোগী। এসব রোগীর বেশিরভাগ হচ্ছেন ভাইরাল জ্বরজনিত রোগে। যাকে বলা হয়েছে ‘ফ্লু’ কোন ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেলে বলা হয় ‘ফ্লু’।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বলছেন, এ ভাইরালের লক্ষণ হচ্ছে ঠান্ডা, কাঁশি, জ্বর, সর্দ্দি, মাথা ব্যথা, গলায়ও ব্যথা হতে পারে। মহামারী করোনা বাইরাসের লক্ষণও অনুরূপ কিন্তু এটা করোনা নয়। আবহমানকাল ধরে বর্ষার সময় আবহাওয়াজনিত কারণে এ ধরনের লক্ষণ নিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৌসুমী রোগও বলা হয় এ ধরনের ভাইরাল জ্বরকে। যা বর্তমানে ‘ফ্লু’ আকারে সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে। যার স্থায়ীত্ব থাকছে ৭ দিন পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বলছেন করোনা সন্দেহে অনেককে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, কিন্তু তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ মিলছে না। চিহি“ত নন চিকিৎসকগণ।
গ্রামে-গঞ্জে ঘরে ঘরে শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তিরা এ লক্ষণ নিয়ে অসুস্থ হচ্ছেন। হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পরিস্থিতি নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক লোকসমাজকে বলেন, রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেশিরভাগ ঠান্ডা, কাঁশি, জ্বর, মাথা ব্যথাসহ নানা রোগে। তবে করোনা নয়। বহু আগে থেকে এসব লক্ষণ নিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মৌসুমী এ রোগের প্রভাব বেড়ে যায়। এটা হচ্ছে ভাইরাল ফিভার (ভাইরাসজনিত জ্বর) যা ‘ফ্লু’ আকারে ছড়িয়ে পড়েুেছ। চিকিৎসা নিলে ৪/৫ দিনের ভেতর মানুষ সুস্থ হয়ে যায়।