যুবদল নেতা ধনী হত্যাকাণ্ডে আটক ৩

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হানসহ হত্যা মিশনে অংশ নেয়া দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার যশোর ও খুলনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া ভাঙ্গাড়িপট্টির একটি পুকুর থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ৪টি ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
এদিকে হত্যা মামলার আরেক আসামি আলামিনকে আটক করেছেন র‌্যাব সদস্যরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে শহরের বেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এলাকার ইয়াসিন আরাফাত হত্যাকা-কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত খুনের শিকার হয়েছেন বদিউজ্জামান ধনি। আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, হত্যাকা-ের পর জড়িত অপরাধীদের আটকের জন্য তৎপর হয় পুলিশ। এরপর নানা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকা থেকে প্রধান আসামি রায়হানকে এবং ইছা মীর নামে আরেক আসামিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর থেকে আটক করা হয়। রায়হান বেজপাড়া ফুড গোডাউনের পাশের ফরিদ মুন্সীর ছেলে ও ইছা মীর শংকরপুর হারান বাড়ির পাশের বাবু মীরের ছেলে। আটকের পর আসামিদের স্বীকারোক্তিতে শংকরপুর চোপদারপাড়া ভাঙ্গাড়িপট্টির একটি পুকুর থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দুটি গাছিদা, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি বার্মিজ চাকু জব্দ করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল বেলাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ উদ্দিন, কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে র‌্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত বুধবার দিবাগত রাত সোয়া দুটোর দিকে বেজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে বদিউজ্জামান ধনি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলামিনকে তারা আটক করেন। আলামিন বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার রইছের ছেলে। আটকের পর তাকে কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই আনছারুল হক জানান, আটক ৩ আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে আসামি রায়হান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, অপর দুই আসামি ইছা মীর ও আলামিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই দিনদুপুরে শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়স্থ নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মনি ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে গত বুধবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।