উপজেলা নির্বাচনে শুধু বিএনপি নেতা কর্মী সমর্থক নন, কোনো সচেতন নাগরিক ভোট কেন্দ্রে যাবে না : আজিজুল বারী হেলাল

0

খুলনা ব্যুরো ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, নিশিরাতের ভোটডাকাত অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের বৈধতা দিতে নানান ষড়যন্ত্র করছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সেই ষড়যন্ত্রের পাতানো ফাঁদ। এই ফাঁদে বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থক শুধু নন দেশের কোনো সচেতন মানুষ পা দেবে না। কোনো সচেতন ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনগণের দ্বারেদ্বারে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দিতে হবে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এরপরও যদি কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হয় বা তার পক্ষে সরবে বা নীরবে নির্বাচনীয় কার্যক্রমে অংশ নেন তাকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান বহিষ্কার করবেন। এব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠোর।
রোববার (১২ মে) বিকেলে নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে দখলদার আওয়ামী সরকারের প্রতারণামূলক ডামি উপজেলা নির্বাচন বর্জন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন।
নির্বাচন কমিশনকে নির্লজ্জ আখ্যায়িত করে বিএনপি নেতা হেলাল বলেন, উপজেলা নির্বাচন প্রত্যন্ত জনগণের কাছে উৎসবের মতোই। সেখানে ভোট দিতে কেউ কেন্দ্রেই যাচ্ছে না- আসলে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণেরও কোনো আস্থা নেই। অথচ নির্বাচন কমিশন বলছেন, ধান লাগাতে গেছেন, ধান কাটতে গেছেন তাই ভোটার উপস্থিতি কম। তাহলে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বটা কি?
প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার কু-ু বলেন, বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে এবং প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনীয় কার্যক্রমে অংশ নিলে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ আবু হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা সাইফুর রহমান মিন্টু, এসএ রহমান বাবুল, আব্দুর রকিব মল্লিক, মোস্তফা উল বারী লাভলু, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, এসএম শামীম কবির প্রমুখ।
কর্মীসভার শুরুতেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকো, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানের আম্মাসহ নিহত দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের মাগফিরাত কামনা এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।