ব্যস্ততা বেড়েছে রাজগঞ্জের কামার পল্লীতে

0

ওসমান গণি. রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আজহা। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি। তাই ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জসহ পশ্চিমাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে ও গ্রামাঞ্চলে টুং টাং শব্দই জানান দিচ্ছে আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কুরবানির পশু জবাই করার পর গোশ কাটতে ছুরি, চাপাতি, দা, বটির প্রয়োজন হয়। সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুুত করতে এখনই সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এগুলো তৈরি বা শান দিতে প্রয়োজন হয় কামারদের। তাইতো ঈদকে পুঁজি করে বেশ ব্যস্ত থাকেন কামার পল্লীর কর্মকাররা।
কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন এসব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনও আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি বৃহত্তর এ উপজেলার কামার পল্লীতে। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ানো লোহা থেকে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের চাপাতি ও ছুরি ক্রেতা আব্দুল ওয়াদুদ ও ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের বটি ক্রেতা টগর হোসেন জানান, কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে আগে ভাগেই চাপাতি ও ছুরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে নিচ্ছেন। তবে গত বারের চেয়ে এবার প্রতিটা জিনিষের দাম অনেকটা বেশি বলে দাবি করেন এ ক্রেতা।
রাজগঞ্জ বাজারের কর্মকার বিনয় কুমার, বাসুদেব কুমার, নিতাই কুমার, কৃষ্ণ কুমার ও গৌর কুমার জানান, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে ব্যবসা বন্ধ ছিল। লকডাউনের সময় পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে, না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। তাই আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে দা, ছুরি, চাপাতি ও বটি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।