পদ্মা সেতুর উদ্বোধন যুক্ত ছিল যশোরও

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে যশোরেও সমবেত হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শনিবার সকাল ৯টা থেকে মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে স্থাপন করা হয় বিশাল স্ক্রিন। যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় স্ক্রিনে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচনের সাথে সাথে যশোরের জেলা প্রশাসক. মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদের প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণী খান পলাশসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বেলুন উড়িয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানান।
সেখানে যশোর জেলা প্রশাসন ছাড়াও পুলিশ প্রশাসন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন, যশোরের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক -শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কাউটসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেত ছিলেন।
এ ছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। “আমার টাকায় আমার সেতু বাংলাদেশের পদ্মা সেতু” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। শোভাযাত্রাটি পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোতয়ালি থানা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদের প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, পৌরসভার মেয়র হায়দান গণী খান পলাশ, জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোমাল আযম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ সদর উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ যশোরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিকেলে যশোর সদর ও শহর আওয়ামী লীগের ব্যানারে পৃথক আরেকটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে সংগঠন দুটির আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় মুনশি মেহেরুল্লাহ ময়দানে পদ্মা সেতুর থিম সং পরিবেশন করেন যশোর ও ঢাকার ৫০ জন শিল্পী। একই মাঠে রাতে আতশবাজি উৎসব হয়। অনুষ্ঠান সফলে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করে।