শালিখায় অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ছাত্রকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ

0

 

 

শালিখা (মাগুরা) সংবাদদাতা ॥ মাগুরার শালিখা উপজেলা গোবরা পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুলতান বিশ্বাস নামের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে বিল্লাল হোসেন নামে এক ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রের চাচা এরশাদ আলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে মৌখিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন বিল্লাল হোসেন পরীক্ষা দিতে গেলে কলমের কালি ফুরিয়ে যায়। অন্য ছাত্রের কাছ থেকে কলম নিয়ে লিখতে গেলে অফিস সহকারী ছাত্র বিল্লালকে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় দিতে থাকেন। এতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে বিল্লাল হোসেন শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে। বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা ও চাচাদেরকে বিষয়টি জানায়।
এ ব্যাপারে বিল্লালের চাচা এরশাদ আলী বলেন, আমার ভাতিজা বিল্লালকে কানে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি অফিস সহকারী সুলতানের বিচার চাই। আমার ভাতিজা শালিখা হাসপাতলে ভর্তি আছে। সে এখন কানে কিছু শুনছে না। কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। গোবরা পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান মোবাইল ফোন রেকর্ড বক্তব্যে ছাত্রের কানের পর্দা ফাটার বিষয় নিয়ে জানেন বলে স্বীকার করলেও বাস্তবে সরজমিনে গিয়ে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে বলেন, ছাত্র বিল্লালের কানের পর্দা ফেটে গেছে। আমি এই প্রথম শুনলাম। ছাত্রের পরিবার আমাকে কিছু জানায়নি। তবে ছেলের চাচা ঘটনাটি ঘটার অনেক পরে আমাকে ফোনে জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহকারী সুলতান বিশ্বাস মোবাইল ফোন রেকর্ডে ছাত্রকে কানে থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করলেও সরজমিনে গিয়ে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে বলেন ওই দিন আমি ছাত্রকে মারিনি। তার একটা অপরাধের কারণে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের চাচা মৌখিক অভিযোগ করেছেন। শিগগিরই তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।