রাজগঞ্জে ভূয়া সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা আটক ভূয়া নিয়োগপত্র জব্দ

0

 

 

ওসমান গণি. রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকা থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুই ভূয়া কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে চাকরি দেওয়ার নামে চুক্তির টাকা নেওয়ার সময় পুলিশ মোবারকপুর গ্রাম থেকে তাদের হাতে নাতে আটক করে। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ভূয়া নিয়োগপত্র, দুইটা মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু সিম উদ্ধার করা হয়।
রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই ইমরান হোসেন জানান, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রুপচানপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুস সামাদ(৩৯) ও মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা গ্রামের মৃত সোনাই বিশ্বাসের ছেলে আবু আব্দুল্ল্যাহ (৪২) নামের দুইজন আপন ভায়রা ভাই। আটককৃতরা ভূয়া সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তারা অন্যকে সেনা বাহিনী বা পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নেওয়ার চুক্তি করে। গত দিনও ওই রকমভাবে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া ও চুক্তির অবশিষ্ট টাকা নিতে গিয়ে ধরা পড়ে।
সম্প্রতি উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আল-আমিন ও একই উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন নামের দুই যুবককে সেনা বাহিনী ও পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাড়ে দশ লাখ টাকা চুক্তি করে। এর মধ্যে চাকরি প্রত্যাশী ওই দুই যুবকের পরিবারের কাছ আড়াই লাখ টাকাও নিয়েছে তারা।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পুলিশের ও সেনাবাহিনীর দুইটি ভূয়া নিয়োগপত্র নিয়ে মোবারকপুর গ্রামের আব্দুস সালামের বাড়িতে যায় পুলিশের ভূয়া অফিসার আব্দুল্ল্যাহ ও সেনা বাহিনীর ভূয়া ওয়ারেন্ট অফিসার আবু সামাদ। ভূয়া ওই নিয়োগপত্র আব্দুস সালামের কাছে দিয়ে চুক্তির বাকি টাকা চাওয়া হয়। একপর্যায় তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে আব্দুস সালাম স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দারোগা এএসআই ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর অফিসার পরিচয়দানকারী দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে দুইটি ভূয়া নিয়োগপত্র, দুইটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু সিম উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে আটককৃতদের মনিরামপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।