যশোরে মানবপাচার মামলায় আদালতে নারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের এক নারীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় দায়ের করা মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। চার্জশিটে রহিমা বেগম নামে একজন আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইনসপেক্টর দেবাশীষ মন্ডল আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্ত রহিমা বেগম সীতরামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সীতারামপুর গ্রামের পারভেজ হোসেনের স্ত্রী সুকতারা বেগমকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতে নিয়ে যায় পাচারকারীদের একটি চক্র। দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতে নিয়ে যাওয়ার পর সুকতারাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে বিক্রির চেষ্টা চালানো হয়। ১২/১৩ দিন আটকে থাকার পর সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন সুকতারা বেগম এবং মোবাইল ফোন করে ঘটনাটি তার স্বামীকে জানান। এ ঘটনায় সুকতারা বেগমের স্বামী পারভেজ হোসেন ৫ জনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালি থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরই মধ্যে সুকতারা বেগম দেশে আসার চেষ্টাকালে তিনি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হন। বিএসএফ অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের অপরাধে সুকতারা বেগমকে বনগাঁর আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। পরবর্তীতে সুকতারা বেগম আদালত থেকে জামিনলাভ করেন এবং বিজিবি-বিএসএফের সহায়তায় দেশে ফিরে আসেন। পরে তিনি যশোরের আদালতে তাকে পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। তার জবানবন্দিতে পাচারের ঘটনায় একমাত্র রহিমা বেগমের নাম প্রকাশ পায়। এ কারণে রহিমা বেগমকে অভিযুক্ত করে এবং এজাহারভুক্ত অপর ৪ আসামির অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই।