চৌগাছায় বছরের প্রথম সাড়ে পাঁচ মাসে সড়কে গেল ১৫ প্রাণ, আহত অনেকে

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্ট,ু চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার সড়কগুলো দিনদিন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। প্রায় দিনই কোনো না কোনো সড়কে ঝরছে তাজা প্রাণ- দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। মিছিলে নারী, শিশু, কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ শরিক হচ্ছে। সড়কে মৃত্যু ঠেকাতে এখই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স্বজনহারা পরিবারসহ উপজেলার সচেতন মহল।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাস হতে মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত চৌগাছার সড়কগুলোতে প্রাণ গেছে অন্তত ১৫ ব্যক্তির। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনায় স্বজনহারা পরিবারগুলোতে এখনও থেমে থেমে চলছে আহাজারি। সন্তানহারা মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ, স্বামীহারা স্ত্রীর চোখের জলে এলাকার বাতাস যেন ভারী হয়ে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বাহনের বেশিরভাগ চালক অদক্ষ বা অপ্রাপ্ত বয়সের। তারা সড়কের কোনো নিয়ম কানুনই বোঝে না। মোটরসাইকেল, ট্রাক বা অন্যান্য যে বাহনই হোকনা কেন সড়কে ওঠা মাত্রই চরম বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকে। এতে করে সে নিজে যেমন ঝুঁকিতে থাকে তেমনি পথচারী বা অন্য ছোটখাটো বাহনের আরোহীরাও ঝুঁকিতে পড়েন। চৌগাছায় ট্র্রাফিক সার্জেন্টদের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সচেতন মহল বলছেন, সড়কে অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেদের কাছে মোটরসাইকেল পেলেই তা জব্দ করে চালক ও বাইকের মূল মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল বহুলাংশে কমানো সম্ভব হবে।
ঈদের পরের দিন বুধবার বিকেলে হাজরাখানা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান শাহি (২৪) ও একই গ্রামের বাবর আলীর ছেলে সাগর হোসেন (২২) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চলে যায় না ফেরার দেশে। ফের্রুয়ারি মাসের ২২ তারিখে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে ফাঁসতলা বাজার সংলগ্ন সড়কে বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় প্রাণ যায় চৌগাছার মুদি ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদের ভায়রা ইসমাইল হোসেনের (৫৬)। গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সুটিয়া হতে এদিন সকালে চৌগাছায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পিছন দিক হতে একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় ঘাতক ট্রাক তার শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়, ঘটনাস্থলেই ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে চৌগাছা-যশোর সড়কে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলের সাথে ইজিবাইকের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল চালক পৌর এলাকার তারনিবাস মহল্লার বাসিন্দা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া (৪৫)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পরে তার মৃত্যু হয়। ২৫ মার্চ রাত ৮ টার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়কে কয়ারপাড়ার ইউপি ভবনের সামনে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পথচারী কয়ারপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের (৪৫)। একই মাসের ১ তারিখে চৌগাছা-কোটচাঁদপুর সড়কে মুক্তদাহ মোড় সংলগ্ন সড়কে প্রাণ যায় কীটনাশক ব্যবসায়ী উপজেলার দেবিপুর গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে বিপ্লব হোসেন ওরফে বিল্লালের (৪২)। রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে দেবিপুর