সংবাদ সম্মেলনে সদ্য তালাকপ্রাপ্ত তহমিনার অভিযোগ, শহিদুল ইসলাম মিলন আমার দুঃসম্পর্কের নানা, তার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা তহমিনা খাতুন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলায় সদ্য তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাত নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর ও তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের উপস্থিতিতে ও তার হুকুমে তাকে মারধর করা হয় বলে ওই রাতে অভিযোগ করেছিলেন প্রহৃত ইয়াসির আরাফাত। এরপর থেকেই এ বিষয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তহমিনা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে তহমিনা খাতুন নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে দুঃসম্পর্কের নানা দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার নানা আমাকে ¯েœহ করেন। পরিবারের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য তার দ্বারস্থ হই আমরা।
তিনি বলেন, আমি একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল যশোর শহরের ষষ্টিতলা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলামের পুত্র ইয়াসির আরাফাতের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। যার বয়স বর্তমান ৪ বছর। কয়েক বছর সংসার পর আমার স্বামী যৌতুকের দাবিতে আমার ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। যেকারণে বাধ্য হয়ে গত ২০১৯ সালের ২৩ জুন তার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করি। এরপর থেকে আমার শশুর ও তার আত্মীয় স্বজনরা ভুল স্বীকার করে আমাকে আবার সংসার করার অনুরোধ করেন। কিন্তু কিছুদিন ভালো থাকার পর আমার স্বামী আমার ওপর আবারো নির্যাতন নিপীড়ন চালাতে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে তহমিনা বলেন, বিষয়টি আমার দুঃসম্পর্কের নানা শহিদুল ইসলাম মিলনকে বলি। তিনি বিষয়টি জেনে ইয়াসির আরাফাত শোভনকে ফোন করে মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু এরপরও সে আমার ওপর নির্যাতন করতে থাকে। এরই মধ্যে গত ২১ এপ্রিল ২০২২ আমার স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে সে স্পষ্ট বলে দেয় তোকে তালাক দিয়ে দিয়েছি এখন তোর সাথে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। এরপর থেকে আমি গভীর রাত পর্যন্ত আমার স্বামীর বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকি। এরপর বিষয়টি আমার নানা শহিদুল ইসলাম মিলন জানতে পেরে ইয়াসির আরাফাত শোভনকে ফোন করলে সে অশ্রাব্য কথা বলে ফোন কেটে দেন। এসময় সেখানে আমার বাবা গেলে তার ওপর হামলা করা হয়। পরে আমার অনুরোধে শহিদুল ইসলাম মিলন ঘটনাস্থল ও থানায় আসেন আমাদের সহযোগিতার জন্য। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে একশ্রেণীর সাংবাদিক ও স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলন এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা তহমিনার ছোটবোন আফিয়া আফরীন।