জনগণের জন্য সরকারের কোনো দরদ নেই: ডা. শাহাদাত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো মায়া-দরদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে গ্যাসের দাম ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল (রোববার) আবার নতুন করে এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো। দ্রব্যমূল্য মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে জিনিসপত্রের দাম আবারও বেড়ে যাবে। এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ। জনবিরোধী সরকারের জনগণের জন্য কোনো মায়া-দরদ নেই। এ কারণেই তারা এ কাজগুলো করতে পারে। তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না।সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান বাজারে চাল, ডাল, তেল, পিঁয়াজ, মরিচ, গুঁড়ো দুধ, শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে ক্রেতারা অসহায়। সবজিসহ প্রতিটি জিনিস এ ভরা মৌসুমে বহুগুণ বেড়েছে। জ্যামিতিক হারে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী নীতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, হরিলুট, টাকা পাচারসহ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতি করে দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও পানির দাম বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী সরকার। এই বৃদ্ধির চেইন রিঅ্যাকশন হিসেবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৯০ শতাংশ, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৪ শতাংশ, ডিজেলের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ, পানির দাম বেড়েছে ২৬৪ শতাংশ। এই দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। জনগণের নির্বাচিত সরকার থাকলে এই ধরনের সীমাহীন দাম বৃদ্ধি পেতো না। জবাবদিহিতা নেই বলেই দাম বৃদ্ধির পেছনে অনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করছে। ক্ষুধা, অনাহার, অর্ধাহারে বিপন্ন মানুষকে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিএনপি ও সমাজের বিত্তশালী মানুষদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, কাজী শামসুল আলম, হাসান ওসমান চৌধুরী, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।