যশোরে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া-কলেরার সংক্রমণ

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে ডায়রিয়া ও কলেরার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। প্রচন্ড গরমে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল আইভি স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক স্যালাইন সংকটের কথা অস্বীকার করেছেন।
হাসপাতালের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ হতে ১ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনে ৭৯ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন ১১/১২ জন করে নতুন নতুন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। শিশুরা রোটা ভাইরাসে এবং বয়স্করা কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ২০ থেকে ২১ জন করে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া রোগী সংক্রামক ওয়ার্ডে প্রত্যেক দিন অবস্থান করছেন। ডায়রিয়া রোগীর জন্য সংক্রামক ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৪টি। আর পক্স রোগীর জন্য বেডের সংখ্যা মাত্র একটি। মোট ৫টি বেড রয়েছে সংক্রামক ওয়ার্ডে। রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যা কম হওয়ায় ওয়ার্ডের মেঝেয় নিজেদের তৈরি করা বিছানায় রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিৎকারে সংক্রান্ত ওয়ার্ডের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। তবে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য ওষুধ থাকলেও নেই আইভি স্যালাইন। আইভি স্যালাইনের অভাবে রোগীর তাদের যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ফার্মেসী থেকে আইভি স্যালাইন ক্রয় করে রোগীর চিকিৎসা করাচ্ছেন অভিভাকরা। অথচ সরকারিভাবে হাসপাতালেই আইভি স্যালাইন দেয়ার কথা। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সেবিকারা জানান, আইভি স্যালাইনের সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন করে সরবরাহ না এলে রোগীদের দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভিন্ন কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক বলছেন, আইভি স্যালাইন আছে। ওষুধের সংকট নেই। ডায়রিয়ার ধরণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শিশুরা ডায়রিয়ার জীবাণু রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে কলেরায়। প্রচন্ড গরমে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।