জাতীয় সরকার গঠন নিয়ে ‘সন্দেহ’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় সরকার গঠনের রূপরেখা সরকারের কূটচাল কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি থাকতে পারে, চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে। অনেক সময় অনেক কথা আসছে। আমরা চাচ্ছি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন করছি।
‘আবার যারা একটু ধৈর্যহারা হয়ে গেছে তারা চাচ্ছে কী? জাতীয় সরকার। এখন জাতীয় সরকারটা কী? তার কী রূপরেখা, কী তার তাৎপর্য। এখন এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কারা করছে, এটা আবার সরকারের কূটচাল কি না, মূল আন্দোলনকে আড়াল করার জন্য সরকারের কোনো কিছু কি না তা নিয়ে আমাদের ধারণা নেই।’ বুধবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ঢাকা জেলা বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এর আগে একই কর্মসূচিতে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর যারা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে থাকবে তাদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় দলীয় কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের করণীয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলনটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচি চলবে। সুতরাং দল কর্তৃক আমাদের যেসব কর্মসূচি দেওয়া হয় সেগুলো সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন। ‘দল খুব সুচিন্তার মধ্য দিয়েই কর্মসূচি দিচ্ছে এবং তার ধারাবাহিকতার মাধ্যমেই কিন্তু ফ্যাসিবাদের পতনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সেজন্যই বলছি যে, দল থেকে যে কর্মসূচি দেওয়া হয় তা আপনারা যথাযথভাবে পালন করবেন। যেন এই সরকার উপলব্ধি করতে পারে যে তাদের সময় শেষ। শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান করলাম, সেখানেই আমাদের সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। একের পর এক কর্মসূচি আমাদের আসতেই থাকবে।’ তিনি বলেন, আমাদের বৃহত্তর একটি জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। এটা জনগণের প্রত্যাশা। যে কোনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কিংবা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হয়, সবাই আশা করে একটা জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য জনগণের আস্থা অর্জন করে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য কার কতটুকু শক্তি আছে, সেটা বিবেচনার বিষয় না। বরং সরকারের বাইরে যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে, তাদের একত্রিত করাটায় এই মুহূর্তে জরুরি। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান মো. শাহজাহানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।