ঝিনাইদহে জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান তথ্য কমিশনার: সাংবাদিকদের কাজ অন্ধকারে লাইট মেরে তথ্য বের করে আনা

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় এমন তথ্য ব্যতিত, যার কাছে যে তথ্য আছে তা দিতে বাধ্য। জনগণের তথ্যের নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই আইনটি প্রতিষ্ঠিত। দেশে যত আইন আছে, তার মধ্যে বিশেষ বিশেষ আইন হলো তথ্য অধিকার আইন ২০০৯।’ গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক ঝিনাইদহে জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এই আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে জেলা উপজেলায় যাচ্ছি। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস এ কথা উল্লেখ করে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, মানুষ যেন তার অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে। তথ্য সংগ্রহ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো অন্ধকারে লাইট মেরে তথ্য বের করে আনা। তবে কাজটি সহজ নয়। মানুষও নেতিবাচক বিষয়টি বেশি পড়তে চায়। এজন্য সাংবাদিকদেরও এই দিকে আগ্রহ থাকে বেশি। অনেক সময় অন্ধকারে লাইট মারতে গিয়ে ভুল করে ফেলি, এই বিষয়েও গণমাধ্যমকর্মীদের খেয়াল রাখতে হবে। ঝিনাইদহ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও তথ্য কমিশন কর্তৃক আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ঝিনাইদহ পৌর প্রশাসক ইয়ারুল ইসলাম ও পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। অনুষ্ঠানে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়। এদিকে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বসার স্থান নির্দিষ্ট না থাকায় গণমাধ্যম কর্মীরা আয়োজকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। সকালে অনেক প্রবীণ সাংবাদিক বসার জায়গা না পেয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান। আবার অনেক রাজনৈতিক নেতা ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন বলে গণমাধ্যমকর্মীরা অভিযোগ করেন।