সয়াবিন তেলের দাম কমল লিটারে ৮ টাকা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে সয়াবিন তেলের ওপর থেকে ভ্যাট কমানোর পর দাম নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোতলজাত ৫ লিটার তেলের দাম ৩৫ টাকা কমে হয়েছে ৭৬০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার সচিবালয়ে তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খুচরা পর্যায়ে এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা, ৫ লিটারের দাম ৭৬০ টাকা এবং এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আসছে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এ দাম কার্যকর থাকবে। আজ থেকে মিলগেটে এই মূল্য কার্যকর হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হতে আরও পাঁচ-ছয়দিন সময় লাগতে পারে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব। পাম তেলের দাম এখনও ঠিক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এ তেলের দাম ঠিক করতে আগামী ২২ মার্চ আবার রিফাইনারি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে মন্ত্রণালয়।
“পাম তেলের বিষয়ে আমাদের আরও কিছু তথ্য ও হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। এই তেল ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আসে। আসতে সময় কম লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্ধিত যে দাম, সেই দামে অনেক তেল বাংলাদেশে চলে এসেছে। সেটা কিভাবে অ্যাডজাস্ট করা যায়, সে ব্যাপারে আমাদের রিফাইনারি সমিতির প্রতিনিধিরা সময় নিয়েছেন। আমরা ২২ তারিখে এটা ঠিক করব।” এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বোতলজাত প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ১৬৮ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল। আর খোলা তেলের মূল্য নির্ধারণ করেছিল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে মার্চের শুরু থেকে আরও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে সরবরাহ সংকটও তৈরি করা হয়। আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা মিল গেইট থেকে তেল সরবরাহ না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। তখন সরকার নির্ধারিত আগের দামর চেয়ে লিটারে ২৫ থেকে ৩০ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়। দাম বেড়ে যাওয়ায় ও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় খোলা সয়াবিন তেল অনেক জায়গায় মিলছিল না বলে খবর আসে। অনেক বাজারে তেলের বোতল খুলে খুচরায় খোলা আকারে প্রতি লিটার ১৯০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করা হয়। এরপর সরকারের দিক থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়ে। বাজারে অভিযানসহ তেল মজুদের জন্য জরিমানা করা হয় ব্যবসায়ীদের। সয়াবিন তেল সরবরাহ ও বিপণনের সব স্তরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরবরাহ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন তেল পরিশোধনকারী কারখানাতেও সরেজমিনে যান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। এসব উদ্যোগে সরবরাহ সংকট কমে সব বাজারে আবার তেল মিলতে শুরু করে; দামও কিছুটা কমে। তবে তা আগের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। দেশের বাজার পরিস্থিতি ও আন্তজার্তিক বাজারে ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে অতিরিক্ত দাম কমাতে সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট তুলে ৫ শতাংশে নামায় এবং বিপণন ও পরিশোধন পর্যায় থেকে ভ্যাট তুলে নেয়।