লোহাগড়া ইউপি নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মহিলাসহ ৩ জন আহত : বাড়ি ভাঙচুর

0

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা ॥ লোহাগড়া উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন আহত হয়েছেন। আহত মিলন আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হামলার সময় একটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া ইউপিতে গত ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চরবকজুড়ি গ্রামের মৃত রতন আলীর ছেলে মিলন আলী(২৮) নিজ বাড়ির পাশে ক্ষেতে কাজ করছিলেন। নির্বাচনের জের হিসেবে এ সময় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের সুরুজ মোল্যার নেতৃত্বে রিপন, ইকবাল, রাসেল, সোহাস, আলামিন, ইমরান, মাসুম , সেলিম ও মহিলাসহ ১০-১৫ জন রামদা, হকিস্টিক, হাতুড়ী নিয়ে মিলন আলীকে ধাওয়া করে। এসময় মিলন আলী প্রাণে বাঁচার জন্য দৌঁড়ে পাশ্ববর্তী মিন্টু আলীর বাড়ি আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা মিন্টু আলীর ঘরের মধ্যে ঢুকে মিলন আলীকে টেনে হিঁচড়ে বের করে এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় মিলন আলীর চিৎকারে বাড়ির মালিক মিন্টু আলীর স্ত্রী পারভিন সুলতানা(৩৫) ঠেকাতে গেলে ওই সন্ত্রসীরা পারভিন সুলতানা ও তার ছেলে মেহেদী হাসান(১০)কে পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে আহত মিলন আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। লোহাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকার বলেন, ‘আমি মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ও হাসাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম।’ উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার ও বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল শিকদার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার বিজয়ী হন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।