কেশবপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা দুই মেম্বার প্রার্থীসহ আহত-১৩

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী,কেশবপুর(যশোর)॥ যশোরের কেশবপুরে বুধবার ইউপি নির্বাচনের পর ৮টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। সহিংসতায় দুজন মেম্বার প্রার্থীসহ ১৩ জন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনের পর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভেরচি গ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী ২ জন মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ভেতর সংঘর্ষে নবনির্বাচিত মেম্বার আসাদুজ্জামান (৪২) ও তার ভাই ইমদাদুল হোসেন (৩৫) আহত হন। অপরদিকে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে মেম্বার প্রার্থী মহিতোষ ঘোষ (৪৫) ও তার কর্মী প্রশান্ত ঘোষ (৩৮) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। বৃহ¯পতিবার সকালে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দুপক্ষের কর্মীদের সংঘর্ষে খলিলুর রহমান (৪৮) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন মারাতকভাবে আহত হয়। এর মধ্যে খলিলুর রহমানের ডান পা ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা গ্রামের হাফিজুর রহমানকে (৫২) প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে আহত করেছে। এছাড়া কেশবপুর ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের সুজিত দাস (৪৫), মজিদপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৩২), মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বসুন্তিয়া গ্রামের তবিবুর রহমান (৩৫), সুফলাকাটি ইউনিয়নের বেতিখোলা গ্রামের মোজাহার গাজী (৬৫), বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের পরচক্রা গ্রামের মইনুল ইসলাম (৩০) ও রবিউল ইসলাম (২২) এবং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ছোটপাথরা গ্রামের মতলেব সরদার (৫০) আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনও কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।