কেশবপুরের চাঞ্চল্যকর রাসেল হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাবদিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর রাসেল হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। হত্যাকা-ের প্রায় ৫ মাস পর আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হলো। চার্জশিটে ২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো-কেশবপুরের হাসানপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে মাসুদ হোসেন (১৯) ও বিষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মোড়লের ছেলে অহিদ হাসান (১৯)।
ডিবি পুলিশ জানায়, সাবদিয়া গ্রামের মাজিদ মোড়লের ছেলে রাসেল হোসেন (২৬) পড়াশোনার পাশাপাশি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। গত বছরের ১৬ আগস্ট বিকেলে তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর জন্য কেশবপুরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হন। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তার মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় ঘোপসানা রোডে তার মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু রাসেলকে কোথাও পাওয়া যায় না। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন চিংড়া ডেপার মাঠে রাসেলের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। এ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি রাসেলের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মাজিদ মোড়ল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ক্লুলেস হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তিসহ নানা পন্থায় হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের জন্য মাঠে নামেন। এক পর্যায়ে গত ৩০ অক্টোবর ডিবি পুলিশ উপজেলার হাসানপুর ও বিষ্ণপুরে অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মাসুদ হাসান ও অহিদ হোসেনকে আটক করে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথ্যা স্বীকার করে। ডিবি পুলিশ তাদের কাছ থেকে জানতে পারে, আটক মাসুদ ও অহিদ খুলনার চুকনগর থেকে রাসেলের মোটরসাইকেল ভাড়া করে সাগরদাড়ি যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্যে ছিলো মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করা। পথে কেশবপুরের চিংড়া ডেপার মাঠে পৌঁছালে রাসেলকে জবাই করে হত্যার পর মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয় তারা। কিন্তু পরে ভয় পেয়ে যাওয়ায় তারা ঘোপসানা রোডে মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়।