জাতীয় দলে ফিক্সারদের দ্বিতীয় সুযোগ দিতে রাজি নই: হাফিজ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সোমবার দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের জার্সিতে আর খেলতে দেখা যাবে না তাকে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলবেন ৪১ বছর বয়সী এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার। অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে হাফিজের ক্যারিয়ারের নানান দিক। প্রসঙ্গক্রমে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কষ্টের সময় ছিল কোনটা? এসময় তিনি জানান, চিহ্নিত ফিক্সারের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলাটাই তার জন্য হতাশাজনক ছিল।
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং করে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। সাজা ভোগ করে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। কিন্তু আমিরকে দলে ফেরানো হয়েছে দেখে নিজ থেকে সরে দাঁড়ান হাফিজ ও তখনকার ওয়ানডে অধিনায়ক আজহার আলি। পাকিস্তান তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেই আলোড়ন তুলেছিল হাফিজ-আজহারের সেই সিদ্ধান্ত। তবে শেষ পর্যন্ত বোর্ডের হস্তক্ষেপে আমিরের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলতে হয়েছে হাফিজকে। কিন্তু বিপিএলে চট্টগ্রাম ভাইকিংসসহ কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে আমিরের সঙ্গে কোনোদিন খেলেননি হাফিজ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হতাশার ও কষ্টের ব্যাপার ছিল, যখন আমি ও আজহার আলি এই ইস্যুতে নীতিগত অবস্থান নিয়েছিলাম কিন্তু সেই সময়ের বোর্ড চেয়ারম্যান আমাদেরকে বলেছিলেন, আমরা খেলতে না চাইলে সমস্যা নেই, কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঐ খেলোয়াড় (আমির) খেলবে।’ সেই ঘটনার পেরিয়ে গেছে প্রায় সাত বছর। এমনকি আমিরের ফিক্সিংয়েরও কেটে গেছে প্রায় এক যুগ। তবু দেশের সঙ্গে অপরাধ করায় আমির তথা কোনো ফিক্সারকেই জাতীয় দলে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়ার পক্ষে নন হাফিজ। এখনও তিনি ফিক্সারদের বিরুদ্ধে একই অবস্থানে আছেন। হাফিজ বলেছেন, ‘আমি ফিক্সারদের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনও আছি। কখনও চাইনি, ফিক্সারদের দ্বিতীয় কোনো সুযোগ দেওয়া হোক। সেই সময়ের পিসিবি চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিলেন নিজের চরকায় তেল দিতে। যা-ই হোক না কেন, ঐ ফিক্সারদের দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হবে। তার কথা শোনার পর আমি ভেঙে পড়েছিলাম।’