ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (এটিআই) বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জমি লিজ দিয়ে সেই জমিতে থাকা লক্ষাধীক টাকার গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দিয়েছেন। গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস থেকে ট্রলিতে করে গাছের লগ নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপ-সহকারী প্রশিক্ষক শাহীন রেজা ক্যাম্পাসের উত্তর পাশের প্রায় আড়াই একর জমি বরাদ্দ নিয়েছেন চাষের জন্য। সেই জমিতে থাকা বিভিন্ন বনজ গাছ কেটে বিক্রি করেছেন লগ ও খড়ি হিসাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অভিযোগ করেছেন, সম্পূর্ণ গোপনে এই জমি শাহীন রেজাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গোপনে লীজ দেওয়ার কারণে কেউ জানার সুযোগ পাননি। অথচ এই জমিতে থাকা, মেহগনি, ইপিল-ইপিল ও কড়ই সহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। জানাগেছে, এই প্রতিষ্ঠানে সুজন মজুমদার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে উপবৃত্তি, মাছ বিক্রি, গরু বিক্রি ও হোস্টেলে সিট বাণিজ্য করে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে তিনি পিআরএল’এ রয়েছেন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তিনি অবসরে যাবেন। সেই কারণে নিয়ম বহির্ভূতভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরে পড়তে চান বলে কর্মচারীরা মন্তব্য করেন। এই বিষয়ে জানতে সুজন মজুমদার বলেন, কোন অনিয়মের মাধ্যমে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। গত জুন মাসে মিটিংয়ে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন অধ্যক্ষ ছিলেন বিনয় কুমার। বছর শেষ হওয়ার মাত্র ২ দিন আগে কেন জমির গাছ কাটতে শুরু করলে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওখানে তেমন কোন গাছ ছিল না। যা ছিল তা দিয়ে লেবার খরচই হয় না। এদিকে এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, সুজন মজুমদার শ্রমিকদের পোশাক বাবদ বরাদ্দের টাকাও মেরে দিয়েছেন। তিনি পুকুর থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন, ৮টি গরু বিক্রি করেছেন যার দাম প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকা সরকারি ফান্ডে জমা দেননি। জমি বরাদ্দ, ও গাছ কাটার রেজুলেশন দেখতে শনিবার সকালে ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া শিখি-করি-খায় নামে প্রকল্পেও ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। তদন্ত করলেই এই অনিয়মের চিত্র ধরা পড়বে বলে তারা জানান।