ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন: অভয়নগরে দুই কেন্দ্রে পুলিশের গুলি, নৌকা ৪ ও স্বতন্ত্র ৪

0

স্টাফ রির্পোটার,অভয়নগর (যশোর) ॥ অভয়নগরে ভোট কেন্দ্র দখল ও গোলাগুলির মধ্যে দিয়ে গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৮টি ইউনিয়নের নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের ৪ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জন। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাইমারি বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা ভোট কেন্দ্র দখল করতে আসে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বেলা ১১টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের আনারস মার্কা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আজিম বলেন, ‘নৌকা মার্কা ও মোরগ মার্কার লোকজন পাইকপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাইমারি স্কুলে এসে ভোট কাটতে থাকে। আমি ও আমার সমথর্কেরা বাধা দিলে তারা আমাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশও আমাকে মারধর করতে থাকে। সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।’ এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘বেলা ১১ টার পরে এই কেন্দ্রে একটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বষর্ণ করি।’ অপরদিকে শুভরাঢ়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ী সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রটি দুপুর ২টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা দখল করে। এ খবর পেয়ে আনারস মার্কার প্রার্থী এ বি এম জাকির হোসেন বাচচুর নেতৃতে তার সমর্থকেরা বাধা দিতে আসে। এ সময় নৌকা প্রতীকের সমথর্করা জাকির হোসেন বাচ্চুকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। খবর পেয়ে জাকির হোসেন বাচ্চুর সমর্থকেরা একত্রিত হয়ে কেন্দ্র দখল করে ভাঙচুর করে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ফলে কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্চন অফিসার এস.এম হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি, কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকের ৪ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নে নৌকার প্রতীক নিয়ে মো. মফিজ্জউদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। সুন্দলী ইউনিয়নে নৌকার প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিকাশ রায় কফিল। চলিশিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সানা আব্দুল মান্নান আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পায়রা ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান বিশ্বাস। শ্রীধরপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রতীক নিয়ে অ্যাড. নাসির উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়েবুর রহমান (মোটরসাইকেল প্রতীক। শুভরাঢ়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জহুরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। এছাড়া সিদ্দিপাশা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাসেম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।