সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকী শৈলকুপার এক নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে জিডি

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জামিনুর রহমান বিপুলের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন অরিত্র কুন্ডু নামে এক সাংবাদিক। তিনি ‘বাংলা ৭১’ পত্রিকার ঝিনাইদহ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে অরিত্র কুন্ডু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে খুন, জখম ও মামলা করা হুমকীর বিরুদ্ধে জিডি করেন, যার জিডি নং ১৪৭৬। জিডিতে সাংবাদিক অরিত্র কুন্ডু উল্লেখ করেছেন, ১৫ নং ফুলহরি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আচরণ বিধি লংঘন করে প্রতিদ্বন্দি অন্য প্রার্থীর প্রচার মাইক, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করছেন। এই খবর তিনি তার পত্রিকায় প্রকাশ করায় নৌকার প্রার্থী জামিনুর রহমান বিপুল ক্ষিপ্ত হন এবং অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের দিয়ে মোবাইলে একের পর এক অরত্রিকে হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুর ১.০৪টার সময় নৌকার প্রার্থী জামিনুর রহমান বিপুল নিজেই তার ব্যবহৃত ০১৭১৪-৯০৭৬৪৮ নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে খুন জখম ও গ্রামে বসবাসরত অরিত্র কুন্ডুর পরিবারের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকী দেন। হুকমীর পর থেকে শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামে বসবাসরত তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সাংবাদিক অরিত্র কুন্ডু ফুলহরি গ্রামের ক্ষুদিরাম কুন্ডুর ছেলে। তিনি বর্তমান ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুরের বসবাস করছেন। সাংবাদিক অরিত্র কুন্ডু জানিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে বেশ কয়েক দিন ধরেই অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা তাকে হাত-পা কেটে নেওয়ার হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার নৌকার প্রার্থী জামিনুর রহমান সরাসরি তাকে হুমকী দেওয়ায় তিনি মনে করছেন ওই প্রার্থীর লোকজনই বেনামে নানা ভাবে হয়রানী ও হুমকীমুলক আচরণ করছেন। এ বিষয়ে ফুলহরি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জামিনুর রহমান বিপুলের মুঠোফোনে জানান, অরিত্র কুন্ডু আমার ছোট ভাই মানুষ। তার পরিবারের সঙ্গে আমার পুরানো সম্পর্ক। কি কারণে সে জিডি করলো তা আমি জানি না। হয়তো আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য কেও আমার নাম ভাঙ্গিয়ে তাকে হুমকী দিতে পারে। আমি কেন তাকে হুমকী দিতে যাব ? এর পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। বিপুল জানান, জিডি যখন হয়েছে তখন আমি চাচ্ছি বিষয়টি নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করুক। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোঃ সোহেল রানা জানান, অরিত্র কুন্ডু নামে এক সাংবাদিক জিডি করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।