শীতে সর্দি জ্বর থেকে দূরে থাকার উপায়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আমাদের সবার কম বেশি জ্বর, সর্দি কাশি হয়ে থাকে। শীতে সর্দি কাশিটাই বেশি হয়।
আর জ্বর, সর্দি কাশি হলে এমনকিছু খাওয়া উচিত যা শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি জ্বর সারাতে সাহায্য করবে।
ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাকমের সিনিয়র ম্যানেজার ও চিকিৎসক আফরোজা আখতার বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির বছরে ৪ থেকে ৬ বার এবং একটি শিশুর বছরে ১০ থেকে ১২ বার সর্দি জ্বর হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। অর্থাৎ জীবদ্দশায় ২০০ বারের বেশি সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কমলালেবু, আপেল, আঙুর, আনারস ইত্যদি ফলে ভিটামিন সি এবং এ রয়েছে। তাই জ্বরের সময় ফ্রুট সালাদ খাওয়া উচিত বেশি করে। দিনে দুইবার কমলালেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।
যে কোনও নরম খাবার যেমন সবজি, ডিমসেদ্ধ, চিকেন ও ভেজিটেবল স্যুপ ইত্যাদি খাবার হজম হতে সুবিধে হয়। এগুলো পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এছাড়াও আদার মতোই রসুনও সর্দিজ্বর নিরাময়ে খুবই কার্যকরী। এককাপ মতো পানিতে একটি কোয়া ফেলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই কুসুম গরম পানি দিনে দুইবার খেলে জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
জ্বরের সময় মাঝেমধ্যেই একটি-দুটি করে কিসমিস খাওয়া ভালো কারণ এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে এনার্জি সরবরাহ করে এই ড্রাই ফ্রুট। সর্দি-কাশি প্রতিরোধে পরিচিত টোটকা তুলসি-মধু। জ্বর হলে একটি-দু’টি পাতা চিবিয়ে খেলেও উপকার হবে।
যেভাবে সর্দিজ্বর থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব
খুব সামান্য কারণেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ। সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যেই মানুষের সর্দিজ্বর ভালও হয়ে যায়। তবে কয়েকটি উপায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত সময়ে সর্দিজ্বর ভাল করা সম্ভব বলে বলছেন চিকিৎসকরা।
ঘুম বা বিশ্রাম: ঘুম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাজেই ঠান্ডা বা সর্দিজ্বরের সময় বিশ্রাম নিলে বা বেশি ঘুমালে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব।
উষ্ণ পরিবেশে থাকা: সর্দিজ্বরের সময় উষ্ণ পরিবেশে থাকা বা উষ্ণ পোশাক পরে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রচুর পরিমাণ তরল পানীয় গ্রহণ করা: প্রচুর পরিমাণ পানি বা ফলের রস পানের মাধ্যমে পানিশূন্যতা রোধ করলে ঠান্ডা থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যেতে পারে।
গলার যত্ন নিন: ঠান্ডার একটি সাধারণ উপসর্গ গলা ব্যথা। লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা অথবা লেবু এবং মধু দিয়ে হালকা গরম পানীয় তৈরি করে পান করলে গলা ব্যাথা দ্রুত উপশম হতে পারে।