পাকিস্তান ঝড়ে উড়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বড় স্বপ্ন নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, তার ওপর বিশ্ব কাঁপানো টি-টোয়েন্টির স্পেশালিস্ট সব খেলোয়াড়। কিন্তু ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় ক্যারিবিয়ানদের। ওই ব্যর্থতা কাটাতে নতুন শুরুতেও তাদের একই চিত্র। পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। করাচির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আক্ষরিক অর্থেই তাদের উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। আজ (সোমবার) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পর বোলিংয়েও ঝড় তুলেছিল স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলীর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০০ রান করে পাকিস্তান। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে সামান্য প্রতিরোধও গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পারে ১৩৭ রান। ফলে ৬৩ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেছে বাবর আজমরা। যদিও টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান অধিনায়ক বাবর। ওয়ান ডাউনে নামা ফখর জামানও (১০) যেতে পারেননি বেশিদূর। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপ তৈরি হলেও রিজওয়ান-হায়দারের ঝড়ে সব চাপ উঠাও! বরং তাদের তাণ্ডবে উল্টো ক্যারিবিয়ানরা বিধ্বস্ত। বেশি আগ্রাসী ছিলেন ম্যাচসেরা হায়দার। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় তিনি খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। আর রিজওয়ান ৫২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে করেন ৭৮ রান। শেষ দিকে ঝড় তুলে মোহাম্মদ নওয়াজ ১০ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে সফল বোলার রোমারিও শেফার্ড। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেইন, ওশানে থমাস, ডমিনিক ড্রাকস ও ওডেন স্মিথ। কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই খেই হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ১ রান করে ফিরে যান ওপেনার ব্রেন্ডন কিংস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শাই হোপ ও নিকোলাস পুরান যা একটু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মোহাম্মদ ওয়াসিমের ইয়র্কারে নিকোলাস পুরান (১৮) বোল্ড হওয়ার পর ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে হোপের ব্যাট থেকে। স্মিথ করেছেন ২৪ রান। আর ২৩ রান রোভম্যান পাওয়েলের। পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার ওয়াসিম। এই পেসার ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। শাদাব খান মাত্র ১৭ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট।