মনিরামপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা চৈতন্য বিশ^াসের পরলোকগমন

0

মজনুর রহমান, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুরে সবার প্রিয় বীর মুক্তিযোদ্ধা চৈতন্য ডাক্তার আর নেই। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পরলোকগমন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মুক্তিযোদ্ধা চৈতন্য বিশ^াস যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দারের শ^শুর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে রাষ্ট্রীয় মার্যাদা শেষে পৌরশহরের তাহেরপুর মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, দুই ছেলে, দুই জামাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগে চাকুরি করার সুবাদে এলাকায় ছিলেন চৈতন্য ডাক্তার হিসেবে পরিচিত।
স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট মুক্তিযোদ্ধা চৈতন্য বিশ^াসের বড় ছেলে অনিন্দ্য বিশ^াস প্রকাশ জানান, তার বাবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি পরলোকগমন করেন। ওই রাতেই তার মরদেহ আনা হয় মনিরামপুর পৌরশহরস্থ বাড়িতে। খবর পেয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম আলাউদ্দিন আহমেদ, লিয়াকত হোসেন, ইমান আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, পৌর বিএনপির আহবায়ক খায়রুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে তার আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গতকাল সকাল ১০ টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে মরদেহের কফিনে উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা চৈতন্য বিশ^াসের বড় জামাতা যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, থানা পুলিশের ওসি নূর ই আলম সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গার্ড অব অনারের পর তাহেরপুর মহাশ্মশানে তার মরদেহের সৎকার করা হয়।