কচু শাক ও শুকনো মুড়ি খেয়ে দিন কাটছে মহসেন জুট মিলের ছাটাইকৃত শ্রমিক কামাল হোসেনের

0

শেখ বদরউদ্দিন, ফুলবাড়ীগেট (খুলনা)॥ খুলনার শিরোমনি শিল্প এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুট মিলটি ২০১৩ সালে শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ গ্রাইচুটি সহ চুড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ না করেই বন্দ ঘোষনা করে কতৃপক্ষ। মিলের ম্যাকানিকাল বিভাগের শ্রমিক কামাল হোসেন মিলের শ্রমিক কলোনিতে থেকে মহসেন জুট মিলে কাজ করতেন, মিল মালিকের কাছে তার পাওনা রয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। মিল বন্দ ঘোষনার পর থেকে তিনি বেকার হয়ে পড়েন বয়সের শেষ সময়ে কাজ করার মত কোন শক্তি নেই তার। আশায় রয়েছেন কবে তিনি তার চুড়ান্ত পাওনা পাবেন আজ, কাল করতে করতে ৮ বছর হয়ে গেলেও তিনি তার চুড়ান্ত পাওনা বুঝে পাননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহসেন জুট মিলের শ্রমিক কোয়াটারে গিয়ে দেখা যায় কচু শাক রান্না করতে এসময় তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন দেশে যখন দুর্ভিক্ষ এলো তখনও আমার এত কষ্ট হয়নি গত রোজার সময়ে মসজিদে এত্তেকাফে বসেছিলাম ১০ দিন, সে সময় মসজিদ এর একজন মুসাল্লির বাড়ি থেকে খাবার দিতো প্রতিদিন মাছ, মাংস খেতে পেরেছি, এরপর থেকে মাছ মাংস কি জিনিস তা চোখে দেখিনি, বাজার করার মতো নিজের কাছে টাকা নেই। আশপাশ থেকে কচু শাক তুলে নিয়ে সেটা রান্না করি আমি কচুশাক আর শুকনা মুড়ি খেয়ে থাকছি, অনেক কষ্টে দিন কাটছে লজ্জাশরমে কারোর কাছে হাত পাততে পারিনা যৌবনের শুরুতে মিলে এসে চাকরি নিয়েছিলাম মিল বন্ধ হলেও আমার চুড়ান্ত টাকা আজও পেলামনা, নিজের কষ্টের টাকা মিল মালিকের নিকট থেকে পাওয়ার জন্য কামাল হোসেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, খুলনা জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।